Thursday, August 21, 2025

বিশ্ব এসেছে বাংলার ঘরে: সোমে শালবনির তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

সোমবার শালবনিতে শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। জানান, রাজ্যজুড়েই বিদ্যুৎকেন্দ্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। ২১ এপ্রিল শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মমতা। ২২ তারিখ গড়বেতার গোয়ালতোড়ে একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সেটিও শিলান্যাস করবেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। ২১শে এপ্রিল আমি যাব শালবনিতে। শালবনিতে ৮০০ মেগাওয়াট দুটো প্ল্যান্ট হবে। ওখানে জিন্দলরা থাকবেন। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ যাবেন। জিন্দল সাহেবও থাকবেন, ওঁর ছেলেও থাকবেন। আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করব। আর তারপরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই অনেকগুলো পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ চলছে। এর মধ্যে শালবনিতে ১৬০০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ারপ্ল্যান্ট তৈরি হবে। জিন্দলরা খরচ করছেন ১৬ হাজার কোটি টাকার উপরে। কমপিটিটিভ বিডিংয়ের মাধ্যমে ওঁরা এই প্রোজেক্টের বরাত পেয়েছেন। পূর্বভারতে এমন প্রোজেক্ট আর নেই। এছাড়া ঝাড়গ্রাম -পশ্চিম মেদিনীপুরে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করা হবে।“

মমতা জানান, “আমরা ৬টি ইকোনোমিক করিডোর করেছি। শিল্পের নতুন গন্তব্য এখন বাংলা। সাগরদিঘি থেকে শুরু করে দুর্গাপুর, বক্রেশ্বর থেকে শুরু করে সান্তালডি প্রচুর মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ হচ্ছে। এর ফলে আগামী দিনে অর্থনীতি অনেক মজবুত হবে, অনেক কর্ম সংস্থান হবে।“ ২২ তারিখে গড়বেতার গোয়ালতোড়ে একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। একটি জার্মান কোম্পানির সহায়তায়, ৭৫৭ কোটি টাকার এই গ্রিন প্রোজেক্ট হচ্ছে।

বিগত বাম জামানকে কটাক্ষ করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সরকারের আমলে বাংলার মানুষ ‘লোডশেডিং’ শব্দটা ভুলেই গেছে। নিরবচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপ্লাই করতে সরকারেরও অনেক খরচ হয়। আগামী প্রজন্ম যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে যেন কোনও সমস্যায় না পড়ে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।“

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে, দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। দেওচা পাঁচামি নিয়েও স্থানীয় মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বলেন, “জমিহারাদের প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে, চাকরি দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আরও জমি পেলে, ক্ষতিপূরণ দিয়ে, আরও বাড়ানো হবে কাজ। গোটা এলাকা জুড়েই বাজার, হাসপাতাল, স্কুল তৈরি হবে তবে জোর করে কারও জমি নেওয়া হবে না। এটিই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি। বিশ্ব এসেছে বাংলার ঘরে।“ তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই রাজ্য কর্মসংস্থানে বিষেয় জোর দেন মমতা। সেই কারণেই রাজ্য শিল্পস্থাপনে জোর দেওযা হচ্ছে।

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...
Exit mobile version