অদৃষ্টের পরিহাস! বিজেপি নেতার বিয়ের খবর দিচ্ছে তৃণমূল

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। ক্যামেরার সামনেও হাতাহাতিতে বাধে না বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের। ফলে হয়ত নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি দলের সহযোদ্ধার কাছে প্রকাশ করতে পারেন না গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তার প্রমাণ মিলেছে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিয়ের সংবাদ পরিবেশনে। কারণ বঙ্গ বিজেপির কোনও নেতা-নেত্রী নয়, এই খবর জানিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

বাংলার পদ্মশিবিরে কোনও সদ্ভাব নেই- একথা সর্বজনবিদিত। দিলীপ গোষ্ঠী, শুভেন্দু গোষ্ঠী, সুকান্ত গোষ্ঠী-সবই আলাদা। কখনও আবার এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে তৃতীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ছক কষেন। এমনকী বাঙালী কাঁকড়া হয়ে পা টেনে ধরতে দিল্লি পর্যন্ত পাড়ি দেন। ফলে যেখানে রাজনীতির ময়দানেই মতৈক্য নেই, সেখানে ব্যক্তিগত স্তরে বন্ধুত্ব থাকবে এমনটা আশা করাই বোধহয় বৃথা।

দিলীপ ঘোষকে সরিয়েই বঙ্গ বিজেপি দায়িত্ব গিয়েছে সুকান্ত মজুমদারের হাতে। সেই সুকান্ত আবার শুভেন্দু লবি বলে পরিচিত। আর এসবের মাঝে পদ্মশিবিরের নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব রেড়েছে দিলীপের। বঙ্গে প্রচারে যখন নরেন্দ্র মোদি, তখন সেই জায়গা থেকে বহু দূরে নিজের আবর্তে চায়ের আড্ডায় দিলীপ। অথচ বিরোধী দলের অনেকের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক। কুণাল ঘোষের সঙ্গেও তাঁর ভালো সম্পর্ক বলেই খবর। কিছুদিন আগে এই সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে সিপিএম-এর যুবনেতা শতরূপ ঘোষের পাশে বসে খোশ গল্প করতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন এই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।
আরও খবর: বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিয়ে! বোমা ফাটল কুণালের টুইটে

এর ফলেই হয়ত, দলের কেউ নন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানালেন, দিলীপ ঘোষের বিয়ের আগাম খবর। অদৃষ্টের কী পরিহাস! যে তৃণমূলকে সব বিষয় নিয়েই নিশানা করে বিজেপি, বাংলার সেই শাসকদলের নেতার থেকেই নিজের দলের প্রাক্তন সাংসদের বিয়ের আগাম সংবাদ শুনতে হচ্ছে তাঁদের। প্রথম পোস্টের পরে দ্বিতীয় পোস্ট করে দিলীপকে বিয়ের আগাম শুভেচ্ছা জানান কুণাল। লেখেন, এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজবেন না।