টাকার বিনিময়ে আরজি কর আন্দোলনের (RG Kar protest) প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন টলিপাড়ার নায়ক -নায়িকারা! বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পরিচালক অরিন্দম শীল (Arindam Sil)। ২০২৪ সালের যে ঘটনায় বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য তথা দেশ, সেখানে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করলেন বিনোদন জগতের তারকাদের একাংশ? অরিন্দমের কথায়, অভয়া আন্দোলনে যোগ দিতে ‘অ্যাপিয়ারেন্স ফি’ অর্থাৎ টাকা নিয়েছিলেন বেশ কিছু সেলিব্রেটি! পরিচালক যদিও আন্দোলনে যোগ দেওয়া কারও নাম প্রকাশ্যে আনেননি। তবে ইতিমধ্যেই তাঁর চাঞ্চল্যকর দাবিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে। আন্দোলন চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস বারবার অভিযোগ করেছিল যে, নিজেদের সিনেমা বা সিরিজের প্রোমোশনের অঙ্গ হিসেবে অভয়া আন্দোলনকে ‘ব্যবহার’ করছে বেশ কিছু তারকা। অরিন্দমের মন্তব্যে যেন সেই কথাতেই সিলমোহর পড়লো।

গত বছর অগাষ্ট মাসে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ- খুনের ঘটনায় টলিপাড়া সিংহভাগ আন্দোলনকারীদের পাশে থেকেছেন। কেউ রাত জেগেছেন, কেউবা মোমবাতি মিছিলে হেটেছেন। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুকথা পোস্ট করে শিরোনামে থাকতে চেয়েছেন, তো কোনও সেলিব্রেটি আবার মঞ্চে উঠে রাজ্যের বদনাম করেছেন। এবার সেই আন্দোলন নিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক অরিন্দম শীল। কোনও পুজো বা দোকানের উদ্বোধনের সাধারণত সেলিব্রেটিরা ‘অ্যাপিয়ারেন্স ফি’ হিসেবে মোটা টাকা নিয়ে থাকেন। কিন্তু স্পর্শকাতর ঘটনা নিয়েও তাঁরা ব্যবসা করেছেন, টাকার বিনিময়ে মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করেছেন এই অভিযোগের সত্যতা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে মারাত্মক ঘটনা। অরিন্দম স্পষ্ট করে কারোর নাম বলেননি, কিন্তু কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে অনেকে পালটা চ্যালেঞ্জও ছুড়েছেন পরিচালক যেন এই অভিযোগের প্রমাণ দেন। তা না হলে আইনি পথে হাঁটার চিন্তাভাবনাও করছেন অনেকে বলেই স্টুডিও পাড়া সূত্রে জানা যাচ্ছে।

পাশাপাশি নিজের বিরুদ্ধে ওঠার যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়েও মুখ খুলেছেন ‘মিতিন মাসি’র পরিচালক। নবীন প্রজন্মের এক অভিনেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনায় পরিচালকের বিরুদ্ধ দায়ের হয়েছিল এফআইআর। মহিলা কমিশনের জেরার মুখেও পড়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর কিছুদিন লাইমলাইটের আড়ালে থাকার পর এবার নিজে থেকেই মুখ খুললেন অরিন্দম। জানান, যে অভিনেত্রী অভিযোগ করেছিলেন তাঁর কাছের এক মানুষ ফেডারেশনের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে ফোন করে চারজন টেকনিশিয়ানকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে সাক্ষী দেওয়ার জন্য চেয়েছিলেন। আমার সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন যেসব অভিনেত্রীরা, তাঁদের বলা হয়েছে কী রে, তোরা কিছু বলছিস না কেন! আমার বিরুদ্ধে অনেকের রাগ আছে। একজন অভিনেত্রী বিদেশে গিয়ে চুরি করেছিলেন। জেলে যেতে-যেতে বেঁচেছেন! অন্য সিনিয়র ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাকে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে ডাকা হয়েছিল। এর বাইরেও অনেকের রাগ থাকার কারণ রয়েছে। সেটা হল, আমি ছবির অন্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার পর পরিচালক হয়ে গিয়েছি তথাকথিত সহকর্মী -বন্ধুরা মিলে আমাকে ফাঁসিয়েছে।” এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই অভয়া আন্দোলনে বাংলা বিনোদন জগতের অভিনেতা অভিনেত্রীদের একাংশের ‘অ্যাপিয়ারেন্স ফি’ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অরিন্দম।

–


–

–

–

–

–

–

–

–