বিজেপির গুণ্ডামিতে আক্রান্ত পুলিশ! বালুরঘাটে সুকান্তর ‘অভিযানে’ ধস্তাধস্তি

জেলাশাসকের দফতরের বাইরে শনিবার অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা। চেষ্টা করা হয় ব্যারিকেড (barricade) ভাঙার

ইস্যু জিইয়ে রাখতে আন্দোলনের নাটক। আর সেই নাটক থেকে সরাসরি পুলিশের উপর হামলা। তাও খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) নেতৃত্বে। আর তার জেরেই শনিবার দুপুরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বালুরঘাট (Balurghat) জেলাশাসকের দফতরের বাইরে। বিজেপির গুণ্ডামিতে মাথা ফেটে এক পুলিশ কর্মী। বিজেপি কর্মীরা এসডিও অফিসের সামনের ব্যারিকেড (barricade) ভাঙার চেষ্টা চালায়। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তারই মধ্যে বিজেপি কর্মীদের লাঠির ঘায়ে মাথা ফাটে এক পুলিশ কর্মীর। বাধ্য হয়ে পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ করে বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে দিতে হয়। এই অভিযানকে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুর সঙ্গে সুকান্তর প্রতিযোগিতা বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।

মুর্শিদাবাদের ঘটনা পরিকল্পনা করে বাধিয়েছিল বিজেপি। সেই ঘটনার পরে একের পর এক ঘটনাস্থলে কমিশন পাঠিয়ে ইস্যু জিইয়ে রাখতে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি নিজের লোকসভা ক্ষেত্রে বিক্ষোভ করে এলাকা গরম করার চেষ্টা করেন। সেই উদ্দেশ্য়ে জেলাশাসকের দফতরের বাইরে শনিবার অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা। চেষ্টা করা হয় ব্যারিকেড (barricade) ভাঙার।

তারই মধ্যে আচমকা বিজেপি কর্মীদের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে এক পুলিশ কর্মীর। এরপর যদিও সুকান্ত মজুমদার দাবি করার চেষ্টা করেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ প্ররোচনা দিয়ে অশান্তি তৈরি করে। গোটা ঘটনাকে বিজেপির রাজ্য নেতাদের প্রতিযোগিতা বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, মুর্শিদাবাদ নিয়ে শুভেন্দুর মিছিল করা হয়ে গিয়েছে। বিয়ে করে প্রচারের আলোয় চলে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে প্রচারে থাকতে বিক্ষোভ করতে মাঠে নেমে পড়েন সুকান্ত মজুমদার।