কথায় কথায় বিরোধী দল পরিচালিত রাজ্যে ইডি, সিবিআই (ED, CBI) পাঠানো আর তাই নিয়ে রাজনীতি। বিজেপির স্বৈরাচারী শাসক ভূমিকা নিয়ে বিরোধী দলগুলি বারবারই সরব হয়েছে। অথচ বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলার তলায় তলায় কীভাবে বিজেপি নেতারা সম্পত্তি বাড়িয়ে চলেছেন তার নজির মিলল এবার বাংলাতেই। রাজ্যের এক পদাধিকারী নেতার সম্পত্তির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বদের অভিযোগ জানালেন বিজেপি নেতারাই। চুরি ঢাকতে সেই সম্পত্তি (property) আত্মীয়দের বেনামে কিনে চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। এবার সেই অভিযোগ নিয়ে রাজ্য পুলিশে অভিযোগ জানাতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কীভাবে এরপরেও এই বিজেপি দুর্নীতির অভিযোগ তোলে, প্রশ্ন তৃণমূলের।

বিজেপির রাজ্যের এক পদাধিকারী নেতার একাধিক জেলায় একাধিক সম্পত্তি। তার মধ্যে বেশিরভাগ বীরভূমে (Birbhum)। কোনও সম্পত্তি জমি হিসাবে, কোনওটি ফ্ল্য়াট। কোনও সম্পত্তি (property) বাবার নামে, কোনওটি মায়ের। আবার কোনও সম্পত্তির মালিক দেখানো হয়েছে ভাইকে, কোনওটিতে মালিকানা শালিকার। আর এই এত পরিমাণ সম্পত্তি বেড়েছে মাত্র দুবছরে। এই সীমিত সময়ের মধ্যে আত্মীয় আত্মীয়াদের সম্পত্তির পরিমাণ যেভাবে বেড়েছে, তা দেখলেও স্পষ্ট সদ্য এই সব সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তাঁরা। আর এই অভিযোগ খোদ দলের অভ্যন্তর থেকে তোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের (central leaders) কাছে।

রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে এই সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশনের বিবরণ, ডিডের বিবরণ ইত্য়াদি দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে জে পি নাড্ডা (J P Nadda), অমিত শাহ (Amit Shah), সুনীল বনসালের (Sunil Bansal) মতো নেতৃত্বের কাছে। তৃণমূলের হাতে সেই ই-মেলের কপি এসে পৌঁছাতেই বিজেপির সুবোধ বালকদের পর্দাফাঁস। সেখানেই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, কেন এইসব নেতার বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের তদন্ত হবে না। অভিযোগকারী যে অভিযোগ দিয়েছেন, তার সত্যতা তৃণমূলের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। বিজেপির ভিতর থেকেই বিজেপির কাছে গিয়েছে। তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিই (central agency) তদন্ত করুক। আমরা এই তথ্য পাঠিয়ে দেব রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে। এত বড় দুর্নীতির অভিযোগের চিঠি পেয়েছি। তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে তদন্ত। অন্য দুটি অভিযোগ সিবিআই ও ইডি-কে পাঠাবো।

কীভাবে বিজেপি পদাধিকারী নেতার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের তরফে। আয় বহির্ভূত টাকা দিয়ে এই বিপুল সম্পত্তি কেনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপিরই। এমনকি বিজেপিরই সাংগঠনিক পরিকাঠামো ভাঙিয়ে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বিজেপির ভিতরেই এই অভিযোগের পরে বিজেপি তা নিয়ে আদৌ পদক্ষেপ নেবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পাশাপাশি সিআইডি-র (CID) কাছেও অভিযোগ জানানো হবে, জানান কুণাল। সেই সঙ্গে যে বিজেপি নেতা অভিযোগ এনেছেন, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানান তিনি।

–
–

–

–

–

–


–
