বিপর্যস্ত শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা! আন্তর্জাতিক সূচকে শেষের সারিতে ভারত

শিক্ষাক্ষেত্রে ভারতের স্বাধীনতা বিপর্যস্ত—এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক Academic Freedom Index-এর রিপোর্ট। ২০২৫ সালের এই সূচকে ১৭৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৫৬তম। ২০২২ সালে যেখানে ভারতের স্কোর ছিল ০.৩৮, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ০.১৬ শতাংশে। বাংলাদেশেরও নিচে, এমনকি পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের মতো দেশগুলিও ভারতের চেয়ে এগিয়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মোদি সরকারের আমলে শিক্ষায় হস্তক্ষেপ বেড়েছে বহু গুণ। পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়েছে মুঘল ইতিহাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও বহু শিক্ষক রাজনৈতিক কারণে ছুটি পাচ্ছেন না। গবেষণার বিষয় থেকে শুরু করে শিক্ষক-ছাত্রের পছন্দের বিষয় নির্বাচন—সব কিছুতেই চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের নীতি।

এই অবস্থায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশ্ন উঠেছে, ভারত কি শিক্ষাক্ষেত্রেও একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে? Scholars at Risk সংগঠনের রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার নির্ধারিত এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, প্রতিবাদ কর্মসূচি বন্ধ করা হচ্ছে এবং গবেষণার জন্য বরাদ্দ তহবিল আটকে দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত ৫০ বছরে যে দলগুলি বহুত্ববাদ বিরোধী, তারা শাসনে এলে শুধু বাক-স্বাধীনতাই নয়, শিক্ষার স্বাধীনতাও ব্যাহত হয়। এই ট্রেন্ড আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছে যে, শিক্ষার স্বাধীনতা ছাড়া কোনও দেশ প্রকৃত অর্থে উন্নত হতে পারে না।

মোদি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক, গবেষক ও বিদ্বজ্জনেরা। তাদের মতে, গণতান্ত্রিক কাঠামোয় শিক্ষার এমন অবনমন চিন্তার বিষয়। এখন দেখার, এই অবনতির বিরুদ্ধে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় কি না ভারত সরকার।

আরও পড়ুন – ৫০ কোটির ‘নেকড়ে কুকুর’ কিনলেন সতীশ! ইডির তদন্তে ফাঁস হল সত্যি

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_