নাগাল্যান্ডে নেতাজির শেষ সহযোগী পসউই সুওরো (Poswuyi Swuro) প্রয়াত। ১৫ এপ্রিল বিকেল ৪:০৩ মিনিটে নাগাল্যান্ডের রুজাঝো গ্রামে ১০৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। তিনিই ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhash Basu) শেষ জীবিত সহযোগী।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, হিরোহিতোর বাহিনী মালয়, সিঙ্গাপুর, মাঞ্চুরিয়া, চিন, ফরাসি ইন্দোচীন, বার্মা এবং ভারত অতিক্রম করেছিল। সম্মিলিত INA-জাপানি বাহিনী ভারতে যে পথগুলি নিয়েছিল তার মধ্যে একটি ছিল নাগাল্যান্ডের রুজাজোর ছোট্ট গ্রাম যেখানে পোসউই থাকতেন। ১৯৪৪ সালের ৪ এপ্রিল, সেখানে শিবির স্থাপন করেন সুভাষ বসু। পসউইয়ের গ্রামে একটানা নয় দিন ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। পোসউইয়ের তীক্ষ্ণতা এবং সাহায্য করার আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে এলাকায় নিজের সহযোগী নিযুক্ত করেন নেতাজি। পসউই (Poswuyi Swuro) তাঁর দোভাষী হিসেবে কাজ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, আজাদ হিন্দ বাহিনী যখন নাগাল্যান্ডে পৌঁছয়, তখন একইসঙ্গে আজাদ হিন্দ ফৌজকে সেখানে গাইডও করেছিলেন বলে জানা যায়। ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে পসউইয়ের অবদান ভোলার নয়।
আরও খবর: আফ্রিকা থেকে আসছে ৮ চিতা! আবার বরাদ্দ বিপুল অর্থ

দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদানই নয়, পসউই আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষজন তাঁকে খুবই শ্রদ্ধা করতেন। দশকের পর দশক ধরে জনষেবার কাজের সঙ্গে যুক্ত। মিশুকে ব্যবহারের জন্য খুবই জনপ্রিয় ছিলেন পসউই। বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁর কাছে জিজ্ঞাসুদের ভিড় উপচে পড়ত। ইতিহাসবিদ থেকে গবেষক প্রত্যেকেই যেতেন তাঁর কাছে। তাঁরা উদগ্রীব হয়ে শুনতেন নেতাজির সঙ্গে তাঁর কথোপকথন।

–


–

–

–

–

–

–

–

–