সমর্থন নেই! পুলিশি অনুমতির দোহাই দিয়ে প্রত্যাহার নবান্ন অভিযান

অভিযান প্রত্যাহারের (withdraw) সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের (untainted)। তাঁরা আপাতত নবান্ন (Nabanna) অভিযান করছেন না বলে হাওড়া পুলিশ কমিশনারকে জানান

রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় সাময়িক স্বস্তি চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের (untainted teachers)। সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তীতে চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রতিটি ধাপ চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আইনি পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি হওয়া টাস্ক ফোর্সের (task force)। তারই মধ্যে রাজনৈতিক প্ররোচনায় কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা নবান্ন (Nabanna) অভিযানের মতো কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন। সোমবার সেই অভিযান হওয়ার দুদিন আগে রাতারাতি সেই কর্মসূচি স্থগিত (withdraw) করার ঘোষণা করলেন তাঁরা। যুক্তি হিসাবে পুলিশের অনুমতি নেই, বলে জানানো হল। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, আইনি লড়াইয়ের সময়ে এই ধরনের অশান্তিতে যে কোনও লাভ নেই, তা বুঝেই কর্মসূচি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।

যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক সমাজ যখন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মধ্যশিক্ষা পর্ষদে মামলা ওঠার আগে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষা করছিলেন, তখন একদল চাকরিহারা বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রভাবে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। অথচ চারদিনেই সেই অনশন তুলে নিতে বাধ্য হন তাঁরা। তার পিছনেও মূল কারণ ছিল জনসমর্থন। তাঁদের সমর্থন জানাননি শিক্ষক সমাজের বড় অংশই। তা সত্ত্বেও প্রভাবিত হয়ে ফের নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে দেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ।

যেখানে আইনি লড়াই জারি সুপ্রিম কোর্টে। চাকরি চলে যাওয়ার সুপ্রিম নির্দেশের পরেও রাজ্য সরকার কোনও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে বরখাস্তের নোটিশ দেয়নি। উপরন্তু বিভিন্ন পথে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আইনি লড়াই রাজ্য সরকারই চালাচ্ছে। সেখানে নবান্ন অভিযান যে শিক্ষক সমাজের বড় অংশ নৈতিকভাবেই সমর্থন করে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তাঁরাই। নবান্ন অভিযান নিয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে। তাঁদের এই পথে সরে আসার অনুরোধের পাশাপাশি অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই যুক্তিকে আঁকড়ে ধরে অভিযান প্রত্যাহারের (withdraw) সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের (untainted)। তাঁরা আপাতত নবান্ন (Nabanna) অভিযান করছেন না বলে হাওড়া পুলিশ কমিশনারকে জানান তাঁরা।

যে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনের কোনও কথাই কখনও গুরুত্ব দেয়নি, এবার তারাই জনসমর্থন না পেয়ে পিছপা। তাঁরা আবেদন জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার। সেই আশ্বাস পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের দেওয়া হয়। সেখানেই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, আইনি লড়াই যেখানে চলছে সেখানে এই রকম আন্দোলনে যে কোনও লাভ নেই, তা বুঝতে পেরেই তাঁরা হয়তো প্রত্যাহার করেছেন। এভাবে সমর্থন পাওয়া যায় না সেটা তাঁরা অনশনের সময়ই বুঝেছেন।