টানা বৃষ্টির জেরে ভূস্বর্গে ভূমিধস আর হড়পা বানে (Flashflood and Landslides in Jammu & Kashmir) তিনজনের মৃত্যু। রাতভর বৃষ্টিতে রামবন জেলার চন্দ্রভাগা নদীর জলস্তর বাড়ায় স্রোতে ভেসে গেল ধর্মকুণ্ড গ্রাম। এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটকে রয়েছেন বহু। জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমে বন্ধ জাতীয় সড়ক (National Highway), বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা।

মৌসম ভবনের (IMD) পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টির দাপট চলছে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে হড়পা বানে ভেসে গেল চন্দ্রভাগা নদী সংলগ্ন গ্রাম। ৩০-৩৫ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। ধর্মকুণ্ড থানার পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। বৃষ্টিতে বাগনা গ্রামে বাড়ি ভেঙে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ওই এলাকায় হোটেল, দোকানসহ বেশ কয়েকটি কাঁচা পাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর পাশাপাশি প্রশাসন গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। দুর্ঘটনার খবরে দুঃখ প্রকাশ করে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়ে রবিবার বৈঠকে বসবে সরকার।রামবন শহরের শিলাবৃষ্টির জেরে বহু জায়গায় ধস নেমেছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

–

–


–

–

–

–

–

–

–
