মুহুর্মুহু গুলির মধ্যে মহিলাদের প্রাণ ভিক্ষার ত্রাহি চিৎকার। গুলির বৃষ্টি থাকতে স্থানীয় কাশ্মীরি যুবকরাই এগিয়ে আসেন সাহায্যে। কেউ দ্রুত গাড়ি ডেকে আহত, গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। কেউ শিশু ও মহিলাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মুহূর্তে বদলে গেল শান্ত বৈসারনের (Baisaran) ছবি। আবার সেই দশক পুরোনো রক্তাক্ত কাশ্মীরের স্মৃতি ফিরে এলো। গোটা বিশ্বের কাছে মুখ পুড়ল ভারতীয়দের। এমন একটি সময়ে হামলা চলল যখন ভারত সফরে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স (J D Vance)। কাশ্মীরে এই সময় ভারতীয়দের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও থাকেন। আর আশঙ্কা সত্যি করে মৃত্যু হল এক নেপালি নাগরিকেরও। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দায় নেপাল (Nepal) প্রশাসন।

নেপালের বুতওয়ালের বাসিন্দা সুদীপ নিউপানে দিদি, জামাইবাবু ও মাকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে যান। মঙ্গলবার হামলার সময় বৈসারনেই ছিলেন তাঁরা। হামলার ঘটনার পরে পুলিশ পৌঁছাতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। স্থানীয়রা যতদূর সম্ভব আহতদের উদ্ধারে হাত লাগান। উদ্ধার দেহ সনাক্ত করতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়। তারই মধ্যে উদ্ধার হয় নেপালের (Nepal) সুদীপের (Sudeep Neupane) ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার হয়। তা দেখেই সনাক্ত করা হয় সুদীপকে। তার মায়েরও আঘাত লেগেছে।


বুতওয়ালের ২৭ বছরের সুদীপ (Sudeep Neupane) রম্ভাদেবী কলেজ অফ মেডিক্যাল সায়েন্স থেকে পাশ করেছিল। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রদ্ধা জানানো হয় বুধবার। নেপালের বিদেশমন্ত্রী আরজু রানা দেউবা ঘটনার নিন্দা করে জানান, নিরীহ মানুষকে যারা হত্যা করেন সেই নাশকতামূলক ও অনুভূতিহীন হামলার আমরা তীব্র নিন্দা করি।

–


–

–

–

–

–

–

–
