কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে মঙ্গলবার ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন ভারতীয় পর্যটক এবং ১ জন নেপালি নাগরিক। এর প্রভাবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই ঘটনার জেরে সারা দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থানরত কাশ্মীরি মুসলিম পড়ুয়ারা। তারা এখন শারীরিক, মানসিক এমনকি প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন।

জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনভেনর নাসির খুয়েমি জানিয়েছেন, “দেরাদুন থেকে কাশ্মীরি ছাত্রদের উপর নানা রকম হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। হিন্দু রক্ষা দল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে কাশ্মীরি ছাত্রদের দেরাদুন ছাড়ার হুমকি দিয়েছে, যা তাদের মধ্যে গভীর নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে।”


দেরাদুনে কয়েকজন ছাত্র অভিযোগ করেছেন, রাতে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং হিন্দু ছাত্ররা হোস্টেলে ঢুকে কাশ্মীরি ছাত্রদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। অনেকের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং ২ জন গুরুতর আহত হন বলে জানা গেছে। নয়ডার অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়েও একজন কাশ্মীরি ছাত্রকে নির্মমভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের ‘জঙ্গি’ বলে কটূক্তি করা হচ্ছে। অনেক কাশ্মীরি ছাত্র বাধ্য হয়ে ভারত ছাড়ার কথা ভাবছেন।

এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে আক্রান্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বিষয়টি নিয়ে তৎপর হওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন। এই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ফের একবার দেশে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ও সহাবস্থানের প্রশ্ন তুলে ধরেছে।


আরও পড়ুন – জিও ফাইবার শুভেন্দুর ভাষায় ‘ন্যানো বিম’! বারুইপুরের জঙ্গি-গুজব নস্যাৎ করলেন SP, কটাক্ষ দেবাংশুর

_

_

_

_

_

_

_