কেন্দ্রের গোয়েন্দা চূড়ান্ত ব্যর্থ পহেলগাম হামলার আগে। হামলার পরেও শুধুই ব্যর্থতা গোয়েন্দাদের (intelligence failure)। প্রতিদিন সীমান্ত বরাবর জঙ্গিদের আটকাতে গুলির লড়াই চালাচ্ছে বিএসএফ থেকে ভারতীয় সেনা। তা সত্ত্বেও ২২ এপ্রিল পহেলগামে প্রাণ দিতে হল সাধারণ পর্যটকদের। ৭২ ঘণ্টা পরেও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে উত্তর নেই কীভাবে নিরাপত্তায় এত বড় গাফিলতি। ইতিমধ্যেই পেহেলগামের (Pahalgam) ঘটনার পরে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইতে প্রাণ গিয়েছে বাংলার জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের। যে কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ছবি তুলে ধরতে নির্বাচন কমিশন বিদেশী কূটনীতিকদের ফলাও করে এনেছিল, সেখানে সাধারণ পাঁচটি প্রশ্ন নিয়ে এখনও ঢোক গিলছে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। মৃতদের পরিবার প্রশ্ন করছে –

১. জঙ্গিরা সীমান্ত পেরল কীভাবে?
২. সীমান্ত পেরনোর পর পহেলগাঁওয়ে পৌঁছল কী করে?
৩. সীমান্তের এপারে কোথায় আশ্রয় নিল জঙ্গিরা, কারা আশ্রয় দিল, খাবার জোগাল গোয়েন্দারা জানতেই পারল না!
৪. একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে অনেকক্ষণ গুলি চলল, কিন্তু আশেপাশে কোথাও কোনও সেনা-জওয়ান ছিল না। কেন?
৫. হামলা করে নির্বিবাদে গুলি চালিয়ে সেফ প্যাসেজ দিয়ে জঙ্গিরা বিনা বাধায় পালিয়েও গেল। এটা কী করে সম্ভব হল?


এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই কাছে। সম্পূর্ণ ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র দফতর (MHA)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও এর কোনও সঠিক জবাব নেই। এখন চলছে শুধু বাজার গরম করার খেলা। ভাবখানা এমন এই বুঝি যুদ্ধ করে গোটা পাকিস্তানকে (Pakistan) গুঁড়িয়ে দেবে!

এই প্রথমবার নয় এর আগেও জঙ্গি হামলা চালিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল জঙ্গিরা। এই ঘটনা ঘটানোর পরেও একাধিক জঙ্গি সংগঠন থেকে দায় স্বীকার করা হয়েছে। কার্যকর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এর মধ্যেও বিহারের নির্বাচনে (Bihar assembly election) বক্তৃতা করতে গিয়ে গরম গরম কথা বলে এসেছেন অথচ এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে পাল্টা জবাব দিয়ে উঠতে পারেননি।


গোয়েন্দা ব্যর্থতা (intelligence failure), পহেলগামে (Pahalgam) সেনা না থাকা, সঠিক খবর সঠিক সময় না পৌঁছানো। সব মিলিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) চরম ব্যর্থতার পর তাঁর পদত্যাগের দাবি ইতিমধ্যেই উঠেছে। এরপরেও বিজেপি নেতারা ভাষণবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন টেলিভিশন চ্যানেলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু আসল ঘটনার ব্যাখ্যা বা উত্তর কোনওটাই তাঁদের কাছে নেই। এমনকী জঙ্গিরা ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছে তার সঠিক হদিশও এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। এক একবার এক এক রকম কথা বলা হচ্ছে। কাশ্মীর উপত্যকায় ৩৭০ ধারা (Article 370 abrogation) তুলে দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপির ভাবখানা এমন ছিল সমস্ত সন্ত্রাস সমূলে উপড়ে ফেলা হল। আর কোথাও কোনওদিন কখনও এই উপত্যকায় কোনও সন্ত্রাস বা জঙ্গিহানা হবে না। এই ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে এই জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সহনাগরিকের অকালপ্রয়াণের পর। এর পরেও কী শিক্ষা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার?

–

–

–

–

–

–
