সত্যি কথা গায়ে বাজে! শাহর বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই সাকেতের বেতনে কোপ

দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ আদেশ দিয়েছিল সাকেত গোখেলকে (Saket Gokhale) ক্ষমা চাইতে হবে এবং ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ

স্বৈরাচারী শাসককে প্রশ্ন করা যায় না। প্রশ্ন করলেই নামে শাসকের খাঁড়া। বাংলাকে বঞ্চনা করতে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে শায়েস্তা করার চেষ্টা করেছিল মোদি সরকার। তাতে কোনও প্রভাব রাজ্যবাসীর উপর পড়তে দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার রাজ্যের কথা সংসদে পেশ করতে রাজ্যের সাংসদদের উপর অর্থনৈতিক কোপ ফেলতে শুরু করেছে মোদি সরকার।

সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) খোলাখুলি প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল (Saket Gokhale)৷ অমিত শাহর তানাশাহি চলবে না, রাজ্যসভায় (Rajyasabha) দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন সাকেত গোখেল৷ কোথায় গেল বাংলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) বরাদ্দ, প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সৈনিক হিসেবে তিনি রাজনৈতিক লড়াই লড়তে পিছপা হবেন না, বিজেপির কাছে মাথা নত করবেন না৷

এর পরেই চরমে উঠেছে বিজেপির প্রতিহিংসা৷ তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির একটি মামলা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর স্ত্রী, কূটনীতিবিদ লক্ষ্মী পুরী৷ এই মামলাতেই দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ আদেশ দিয়েছিল সাকেত গোখেলকে (Saket Gokhale) ক্ষমা চাইতে হবে এবং ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিং অরোরার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে প্রতি মাসে সাকেতের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে ৭৫ শতাংশ টাকা৷ এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে গোটা তৃণমূল শিবির৷ শুক্রবার দলের তরফে জানানো হয়েছে সাকেত গোখেল নিজে এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেবেন৷