ভারতের পহেলগাম পরবর্তী পরিস্থিতিতে খোদ পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তান জঙ্গিদের আঁতুড় ঘর হিসাবেই কাজ করেছে। আর তার পিছনে মদত দিয়েছে আমেরিকা। পাক বিদেশ মন্ত্রীর মন্তব্য মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হতেই হাত ঝাড়তে ব্যস্ত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আমেরিকার চাপে পাকিস্তান যে জঙ্গিদের (terrorist) লালন-পালনের কাজ করেছে, সেই অভিযোগ নস্যাৎ করার জন্য কাশ্মীর সমস্যা হাজার বছর পুরোনো, দাবি করেন ট্রাম্প। ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে সেই সমস্যা সমাধান করে ফেলতে পারবে বলে দাবিও করেন ট্রাম্প। কার্যত মার্কিন অর্থে লালিত জঙ্গিরাই যে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে বারবার হামলা চালিয়েছে, সেই দাবি ভারতের তরফ থেকে ওঠার আগেই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা মার্কিন রাষ্ট্রপতির।

প্রায় তিরিশ বছর ধরে পাকিস্তান জঙ্গিদের পালন করছে। সেই মুরগির ছানারা এখন মোগর (rooster) হয়েছে, দাবি করেন পাক বিদেশ মন্ত্রী খোয়াজা অসিফ (Khawaja Asif)। সেই জঙ্গি পালনে হাত ছিল আমেরিকার, স্পষ্ট দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে পাশ্চাত্যের দেশ বিশেষত ইংল্যান্ডের নাম উল্লেখ করেন তিনি। তার পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া আমেরিকার তরফে পাওয়া যায়নি। এবার ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেই ট্রাম্পের দাবি, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যু (Kashmir issue) নিয়ে সমস্যা হাজার বছরের পুরোনো। এমনকি তার থেকেও বেশি পুরোনো হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।

ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রনেতারা উভয়েই তাঁর বন্ধু। তিনি দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই এগোচ্ছেন। সেক্ষেত্রে পহেলগাম হামলার (Pahalgam attack) পরেই যেভাবে জঙ্গি (terrorist) দমনে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেই বার্তা থেকে সরে এসে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিত রয়েছে ট্রাম্পের (Donald Trump) দাবিতে। কার্যত স্পষ্ট একদিকে তিনি ভারতকে বন্ধু হিসাবে হারাতে চান না। অন্যদিকে যেভাবে পাক বিদেশমন্ত্রী মুখ খুলেছেন, তেমন যদি চলতে থাকে, তাহলে ফাঁস হয়ে যেতে পারে আমেরিকার আরো কুকীর্তির পর্দা। তাই দু তরফেই আস্থা রাখার চেষ্টায় ট্রাম্প।

সেই উদ্দেশ্যে এবার জঙ্গি হামলার প্রশ্নের উত্তরে কাশ্মীর সমস্যাকে সামনে এনে প্রাধান্য দেওয়ার পথে ট্রাম্প। তাঁর দাবি, কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই ১০০০ বছরের। কিন্তু দুই দেশই আমার বন্ধু। এই সমস্যার সমাধান তাদেরই করতে হবে।

–

–

–

–

–

–

–
