খুনের দায়ে অভিযুক্ত বাবা- কাকা, হাসপাতাল থেকে হোমে ঠাঁই ট্যাংরার নাবালকের 

চোখের সামনে এলোমেলো হয়ে গেছে জীবন। বিলাসবহুল জীবনযাপন, কোটি কোটি টাকার ঋণ, হাসি খুশি ভরা পরিবারে নিজের লোকেদের খুন হওয়া থেকে দুর্ঘটনায় জীবন- মৃত্যু নিয়ে টানাটানি – এই সব কিছু এক লহমায় বদলে দিয়েছে ট্যাংরার দে পরিবারের (Dey Family, Tangra) নাবালকের জীবনধারণের দৃষ্টিভঙ্গি। পুরো পরিবার আত্মঘাতী হতে চেয়েছিল, প্রাণ বাঁচে বাবা, কাকা আর নাবালক প্রতীপ দে-র (Pratip Dey)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এতদিন সে এনআরএস হাসপাতালেই (NRS Hospital) চিকিৎসাধীন ছিল। এবার ছাড়া পেয়ে ঠাঁই হলো কালিকাপুরের একটি হোমে। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় ১৪ বছরের কিশোরের কোন চিকচিক করছে জল। ভবিষ্যৎটা বড্ড অনিশ্চিত। নার্স আয়ারা এতদিন মায়ের স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। মন খারাপ হাসপাতালে কর্মীদেরও। প্রতীপকে জড়িয়ে বললেন, “ভালো থাকিস বাবা। মন দিয়ে পড়াশুনা করিস।” কেঁদে ভাসাল কিশোর মন। রওনা দিল বেসরকারি হোমের দিকে।

বাড়ির মহিলাদের পরিকল্পিতভাবে খুন করার অপরাধে ট‍্যাংরার দে পরিবারের (Dey Family) ছোট ছেলে প্রসূণ গ্রেফতার হয়েছেন। বড় ছেলে প্রণয় দে (Pranoy Dey) এখনও এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আত্মীয়রা প্রতীপের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (CWC) ঠিক করা একটি হোমে নিয়ে যাওয়া হলো নাবালককে। হাইপ্রোফাইল লাইফস্টাইল থেকে হোমের সাধারণ জীবন যাপন, কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন প্রণয়ের ছেলে। মনোবিদরা মনে করছেন ট্রমা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে এখনো অনেকটা সময় লাগবে নাবালকের।