পহেলগাম হামলায় সত্যিটা সামনে চলে এসেছে, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কতটা ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রতিদিন কাশ্মীরের সীমান্তে সেনা-জঙ্গির যে গুলির লড়াই চলে, তা লুকিয়ে রাখার সর্বোত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে জঙ্গিদের পরিকল্পিত হামলায়। প্রমাণিত হয়েছে গোটা দেশে শান্ত কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে মোদি যে প্রচার চালিয়েছিলেন তা আদতে মিথ্যা ছিল। সেই মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরে এবার কেন্দ্রের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে মাঠে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে এবার আর ধর্মের বিরুদ্ধে ধর্মের উস্কানির পথে পা বাড়ালেন না বিজেপির ভ্রান্ত নীতি মেনে। সেখানেই মোদির বার্তার ব্যাখ্যা চাইল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।

জঙ্গি হামলা পরবর্তীতে একবারও কাশ্মীর যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি নরেন্দ্র মোদি। কখনও সোশ্যাল মিডিয়া, কখনও নির্বাচনী এলাকা থেকে ভাসন দিতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। রবিবার আবার মন কি বাত (Mann ki Baat) নিয়ে হাজির হয়ে কাশ্মীর নিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টায় মোদি। তিনি দাবি করেন, যখন কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজ চালু হচ্ছিল, পর্যটকদের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছিল, জনগণের আয় বৃদ্ধি হচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে দেশের শত্রুরা এটা পছন্দ করেনি। সৌভাগ্যবশত এবারে আর ধর্মীয় ভেদাভেদ করে কোনও বার্তা প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে প্রকাশিত হয়নি।

বৈসারন ভ্যালির (Baisharan valley) হত্যাকাণ্ডের ছয়দিন কেটে গেলেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ এমন দেখা যায়নি ভারতের পক্ষ থেকে যাতে মৃত পর্যটকদের পরিবারগুলি শান্তি পেতে পারে। তারপরেও ফাঁকা আওয়াজই সম্বল মোদির। মন কি বাতে তিনি সেই পুরোনো বুলি আওড়ে দাবি করেন, পহেলগামের ঘটনায় প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটছে। সন্ত্রাসবাদের (terrorism) বিরুদ্ধে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের একতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। গোটা বিশ্ব দেখছে এই হামলার পর পুরো দেশ এক সুরে কথা বলছে। ভারতীয়দের মনে যে আক্রোশ আছে, তা গোটা দুনিয়াতেই আছে।

বারবার এভাবে পদক্ষেপের বার্তা দিয়েও ব্যর্থ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার ব্যাখ্যা চেয়ে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদির কঠোরতম থেকে কঠোরতম শিক্ষার কথা, তারপর বারবার হামলা হয়ে যায়। তারপরেও কেন থামে না। কঠোরতম শিক্ষা কী তার একটা ব্যাখ্যা তো ওনাকে দিতে হবে। প্রথমে ওনার উচিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কৈফিয়ৎ তলব করা। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে যে প্রশ্নগুলি করতেন সেগুলি এবার ওনার নিজের করা উচিত।

–

–

–

–

–

–

–

–
