গ্রামীণ প্রকল্পে ফের বঞ্চনা! NABARD-কে কাজ শেষ করতে চিঠি নবান্নর

আরআইডিএফ (RIDF) খাতে বাংলাকে আড়াই হাজার কোটি টাকার স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেওয়া হবে। কিন্তু কেন্দ্র প্রতিহিংসাবশত বাংলার অংশের টাকা কাটছাঁট করে। তার ফলে প্রকল্পগুলির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি নাবার্ডের (NABARD) পক্ষে

গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে প্রকল্প-পরিকল্পনা প্রস্তুত রাজ্যের। এবার বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার চায় প্রকল্পগুলি দ্রুত রূপায়ণ। সেই লক্ষ্যেই নতুন করে নাবার্ডকে (NABARD) চিঠি লিখল রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে উঠে এল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগও। প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রেও বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র।

রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড বা আরআইডিএফের (RIDF) অধীনে গ্রামীণ প্রকল্প রূপায়ণে একাধিক পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। সেই প্রকল্পগুলির জন্য খরচ হবে ৩০৪ কোটি টাকা। নাবার্ডের অর্থানুকুল্যে গ্রামীণ এলাকার এই প্রকল্পগুলির রুপায়ণ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ছ’টি দফতরের আটটি প্রকল্পের (project) পরিকল্পনা ও ডিপিআর তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন স্রেফ নাবার্ডের (NABARD) অনুমোদনের অপেক্ষা। রাজ্যের তরফে উন্নয়ন প্রকল্পগুলিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে নাবার্ডের চিফ জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়েছে নবান্ন।

এই মর্মে রাজ্য সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রকল্পগুলির তালিকাও পাঠিয়েছে নাবার্ডের কাছে। এখানেও কেন্দ্র সরকার বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করছে। গত আর্থিক বছরে কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অব ফিনান্সিয়াল সার্ভিস জানিয়েছিল আরআইডিএফ (RIDF) খাতে বাংলাকে আড়াই হাজার কোটি টাকার স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেওয়া হবে। কিন্তু কেন্দ্র প্রতিহিংসাবশত বাংলার অংশের টাকা কাটছাঁট করে। তার ফলে প্রকল্পগুলির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি নাবার্ডের (NABARD) পক্ষে। রাজ্য ফের চিঠি লিখে প্রকল্পগুলির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে পূর্ত, সেচ, স্বাস্থ্য, সমবায়, মৎস্য ও পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে রাস্তা, বাঁধ, স্বাস্থ্যভবন, স্টোর হাউস ও হিমঘর নির্মাণ পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু এই ৩০৪ কোটি টাকার প্রকল্প নয়, ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে পর্যায়ক্রমে আরও ২,২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন চাওয়া হবে নাবার্ডের কাছে। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আরআইডিএফ খাতে রাজ্যকে ১৯০৪ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয় নাবার্ড। আগামী অর্থবর্ষে এই অঙ্ক আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী রাজ্য।