দিঘার বুকে রচিত হল নতুন ইতিহাস। মহাযজ্ঞের সমাপ্তি, চৈতন্যদ্বারে সাধুবাবার আশীর্বাদ আর ‘জয় জগন্নাথ’-এর ধ্বনি—সব মিলিয়ে উৎসবের আবহে ভাসছে গোটা দিঘা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দ্বারোদ্ঘাটনের মাধ্যমে বুধবার দুপুর তিনটের পর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে যাচ্ছে জগন্নাথধামের দরজা।

অনুষ্ঠান শেষে চৈতন্যদ্বারের বাইরে এক সাধুবাবার হঠাৎ আবির্ভাব, তাঁর মাথায় হাত রেখে দেওয়া আশীর্বাদ এবং “জগন্নাথ মহাপ্রভু আপনাদের কল্যাণ করুন” বলে মিলিয়ে যাওয়া—এই অভিজ্ঞতায় অভিভূত অনেকেই। বোঝাই যাচ্ছে, জগন্নাথধাম এখন শুধু একটি ধর্মস্থল নয়, এক আবেগ, এক ভক্তির কেন্দ্রস্থল। দিঘার মাটিতে মহাপ্রভুর প্রভাব ইতিমধ্যেই সুস্পষ্ট। গত কয়েকদিন ধরে দিঘা যেন এক তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। শুধু সৈকতের ভ্রমণপিপাসুরা নয়, দূরদূরান্ত থেকে আগত ভক্তদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। দোকান, রাস্তাঘাট, ঘরে-বাইরে এখন একটাই আলোচনা—জগন্নাথধামের উদ্বোধন। অনেকেই বলেছেন, পুরীর মতোই এখন দিঘাতেও প্রতিটি বাক্যের শুরু “জয় জগন্নাথ” দিয়ে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। যাঁরা উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাঁরা চোখ রেখেছেন টিভির পর্দায়, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারে। উৎসবের আবহে মুখর প্রতিটি অলিগলি, প্রতিটি হৃদয়। এই মহোৎসবের মূলে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই সম্ভব হয়েছে এই ঐতিহাসিক নির্মাণ। ইতিহাস বলবেই, যতদিন বাংলা থাকবে, বাঙালি থাকবে, ততদিন সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে তাঁর নাম।

আরও পড়ুন- অবশেষে চাপের মুখে রাজ্যের তিনটি বিলে অনুমোদন রাজ্যপালের

_

_

_

_

_

_

_

_

_
