পহেলগামে হামলায় দেশের নিরাপত্তা গাফিলতি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের কাছে। অজিত ডোভালের নেতৃত্বে ন্যাশানাল সিকিউটিরি অ্যাডভাইসরি বোর্ড (NSAB) যে ডাহা ফেল তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে আগ বাড়িয়ে সার্জিকাল স্ট্রাইক (surgical strike) করাও ভারতের পক্ষে এখন সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বোর্ডে পরিবর্তন এনেই সন্ত্রাস দমনে লড়াই শুরু করতে চলেছে ভারত। নতুনভাবে এনএসএ বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হল রিসার্চ অ্যানালিটিকাল উইঙ্গ-এর (RAW) প্রাক্তন প্রধান অলোক যোশিকে (Alok Joshi)। সেই সঙ্গে বোর্ডে নতুন ছয় সদস্যকে যুক্ত করার ঘোষণা করা হল।

ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা পহেলগাম পর্যন্ত এলো। প্রায় আধঘণ্টা ধরে নির্বিচারে হত্যা করল পর্যটকদের। এমনকি তারপরে পরিকল্পনা মতো ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে পালিয়েও গেল। অথচ জানতে পারল না দেশের সেনাবাহিনী থেকে গোয়েন্দা বিভাগ। সেখানেই বারবার প্রশ্নের মুখে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বেকায়দায় পড়ে বার বার প্রতিরক্ষা দফতর ও স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অবশেষে বুধবার সেই বৈঠকে নতুন এনএসএ বোর্ডের (NSAB) চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন প্রাক্তন র (RAW) প্রধান অলোক যোশি (Alok Joshi)।

মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval) ও তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পরেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আদতে নিজেদের নিরাপত্তাই যে নড়বড়ে তা স্বীকার করতে সাহস পাননি মোদি। আদতে বুধবার এনএসএ বোর্ডের (NSAB) শীর্ষপদে বদলে প্রমাণিত হল, কেন্দ্রের মোদি সরকার মেনে নিল নিজেদের ব্যর্থতা, যার জন্য প্রাণ গেল ২৬ জন নিরপরাধ পর্যটকের।

বোর্ডের নতুন ছয় সদস্য হলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা আধিকারিক পিএম সিনহা, প্রাক্তন সেনাকর্তা লেফটেন্য়ান্ট জেনারেল একে সিং, রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না, দুই প্রাক্তন আইপিএস মনমোহন সিং ও রাজীব রঞ্জন ভার্মা ও প্রাক্তন আইএফএস ভেঙ্কটেশ ভার্মা। এতদিন নিরাপত্তার গোয়েন্দাগিরির সব দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল অজিত ডোভালের উপর। নতুন করে কমিটি গঠনে ডোভালের (Ajit Doval) উপর মোদির আস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

–

–

–

–

–

–

–

–
