বৃহস্পতিতেও কাশ্মীর জুড়ে সেনা তল্লাশি, পহেলগামে জঙ্গি সংখ্যা নিয়ে বড় দাবি NIA-র 

তিন বা পাঁচ নয় বরং পহেলগাম হামলার (Pahelgam Terrorist Attack) দিন বৈসরনের আশেপাশে আত্মগোপন করেছিল আরও একাধিক জঙ্গি। হামলাস্থলে ভারতীয় সেনা পৌঁছে গেলে ব্যাকআপ দেওয়ার জন্যই বাকি জঙ্গিরা কিছুটা দূরে আত্মগোপন করেছিল বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করলো NIA। তদন্তকারীরা বলছেন, এখনও বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী কাশ্মীরে লুকিয়ে রয়েছে। বুধেও উপত্যকা জুড়ে চলল সেনা তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) অফিসাররা মনে করছেন স্থানীয়দের সাহায্য ছাড়া এত দিন ধরে জীবন ধারণের রসদ নিয়ে আত্মগোপন করে থাকা সম্ভব নয় লস্করের সহযোগী টিআরএফের (TRF) জঙ্গিদের। পহেলগামে পর্যটকদের নির্মমভাবে হত্যা করার পর এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেছে অথচ এখনও মুক্ত বাতাসের শ্বাস নিচ্ছে জঙ্গিরা। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা বারবার কড়া জবাব দেওয়া হবে বলে হুংকার দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরন ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন। প্রত্যেকের স্কেচ প্রকাশ্যে এসেছে।এদের পথপ্রদর্শক হিসাবে আদিল কঠোর নামের এক জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এখনo পর্যন্ত জঙ্গিদের ধরা গেল না কেন? তারা কি পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে? NIA বলছে, এখনও পর্যন্ত হামলাকারীরা দক্ষিণ কাশ্মীরে লুকিয়ে রয়েছে। তাদের সাহায্য করার জন্য আরও অনেকেই রয়েছে সেখানে।মূল হামলাকারীরা দুর্গম জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার জন্য নিজেদের মতো রসদও সঙ্গে রাখা হয়েছে।

কাশ্মীর হামলায় নাম জড়িয়েছে লস্কর জঙ্গি ফারুক আহমেদ তারওয়ারের (Farooq Ahmed Tarwar)। বর্তমানে সে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে রয়েছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। ইতিমধ্যেই কুপওয়ারায় তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই জঙ্গির ভাইপো জাকিরও (Zakir ) অভিযুক্ত কাকার শাস্তি চাইছেন। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে তাঁর জন্মের আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চলে যায় কাকা। তিনি যদি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই তাকে হত্যা করা দরকার। আমরা আর ঘটনার সন্দেহে তালিকায় আড়াই হাজারের বেশি মানুষ রয়েছেন যাদের মধ্যে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ১৮৬ জন। কৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার (OGW)। এদেরকে চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।