গোটা দেশের নিরাপত্তা যে গোয়েন্দাদের হাতে তাদের কাছে দেশের জওয়ানদেরই তথ্য থাকে না। সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান মুনির খান। চোখে আঙুল দিয়ে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় ফৌজে থেকেও পাক নাগরিকের সঙ্গে বিয়ে করা যায়। তাও না জানিয়ে। অবশেষে পাকিস্তানি (Pakistani) তরুণীকে বিয়ে করার অভিযোগে সিআরপিএফ জওয়ান মুনির খানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে কর্তৃপক্ষ। মুনিরের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হতে পারে।

খানিকটা বলিউডের সিনেমার মতোই জওয়ান মুনির খানের (Munir Khan) বিরুদ্ধে তদন্তের পথে কর্তৃপক্ষ। অনেক সন্দেহেপ শুরু গতবছরের বিয়ে। সিআরপিএফের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের অনুমতি ছাড়াই জওয়ান মুনির খান বিয়ে করেন পাকিস্তানি তরুণীকে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের তরুণী মিনাল খানের (Minal Khan) সঙ্গে মুনিরের স্যোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়। পরে গত বছর মে মাসে মুনির বিয়ে করেন এই পাক তরুণীকে।
বর্তমানে ৪১ ব্যাটালিয়নে কর্মরত কনস্টেবল মুনির। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করার জন্য অনুমতির আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর দফতর অনুমতি দেওয়ার আগেই গত বছরের ২৪ মে বিয়ের আনুষ্ঠানিক পর্ব সেরে ফেলেছেন মুনির (Munir Khan)। কেন তিনি দফতরের ছাড়পত্রের অপেক্ষা না করেই বিয়ে করে ফেললেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

সিআরপিএফ জওয়ান মুনির খানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে। দফতরের অনুমতি অগ্রাহ্য করে বিয়ে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও মুনিরের পাকিস্তানি স্ত্রী কীভাবে ভারতে থাকছিলেন, সিআরপিএফ (CRPF) খতিয়ে দেখবে সেটিও। নেপথ্যে কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না দেখা হবে তা। এছাড়াও কনস্টেবল মুনিরের আচরণে সন্দেহ দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গত বছর মে মাসে মুনিরের বিয়ে হলেও তাঁর পাকিস্তানি স্ত্রী (Minal Khan) গত মার্চে জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছন। কারণ সেখানেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। স্বল্প মেয়াদের ভিসাতে মুনিরের স্ত্রী কাশ্মীরে আসেন। ২২ মার্চ ভিসার (visa) মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় সরকার। স্বামীর কাছে থাকতে চেয়ে শেষে কোর্টের দ্বারস্থ হন এই পাকিস্তানি তরুণী। লাদাখ কোর্টে আবেদনে পাক তরুণী মিনাল ভারতে দীর্ঘমেয়াদি ভিসার আবেদন জানান। মিনালের পাকিস্তান যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–
