পহেলগাম রক্তাক্ত (Pahelgam attack) হওয়ার পর থেকে যেকোনও মুহূর্তে পাকিস্তানের উপর ভারতের প্রত্যাঘাতের সম্ভাবনা যত জোরালো হচ্ছে, ততই সীমান্তে গুলিবর্ষণের তীব্রতা বাড়াচ্ছে শাহবাজের দেশ। টানা ন’দিন ধরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর এলাকায় একাধিক সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা (Pakistan) । পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত (Indian Army)। যথেষ্ট উত্তেজনার পরিস্থিতি রয়েছে সীমান্তে।

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে টানা গুলির লড়াই চলছে ভূস্বর্গে। সোমবার রাতেও কাশ্মীরের কুপওয়ারা ও বারামুলা সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তান। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত তারা টার্গেট করে সীমান্তবর্তী নৌসেরা, সুন্দেরবানি, আখনুর সেক্টরের ভারতীয় সেনা ছাউনি। বুধবার রাতে উরি সেক্টরে এবং বৃহস্পতিবার রাতেও সীমান্তরেখার নিকটবর্তী কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নৌশেরা, আখনুরে দু পক্ষের গোলাগুলি চলে। এরপর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সেই একই ছবি। এদিন কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর এলাকায় একাধিক সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত, যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে শুরু করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শত্রু দেশকে কোণঠাসা করতে একের পর এক পদক্ষেপ করছে ভারত। শনিবার সকালের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। মিসাইল পরীক্ষার পথে এগোচ্ছে ভারত। আর এতেই কিছুটা হলেও ভয় পাচ্ছে পাকিস্তান। সেই কারণেই সীমান্তে গোলাগুলির পরিস্থিতি বজায় রেখে ভারতীয় সেনার মনসংযোগ বিঘ্নিত করতে চাইছে তারা, মনে করছেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা।
–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–