Thursday, November 6, 2025

প্রত্যেক রাজ্য-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ব্ল্যাক আউট করে মক ড্রিল করানোর নির্দেশ কেন্দ্রের

Date:

পঞ্জাবের মতো সব রাজ্যে (State) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ব্ল্যাক আউট (Blackout) করে মক ড্রিল (Mock Drill) করানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৭ মে সিভিল ডিফেন্সকে মক ড্রিল করানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। নাগরিক ও ছাত্রদের মক ড্রিল করাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্ল্যাক আউট থেকে এয়ার রেড সাইরেন-সব প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পহেলগামে (Pahalgam) হামলার পরে কেটে গিয়েছে ১৩ দিন। এখনও জঙ্গিরা ধরা পড়েনি। জম্মু-কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি। উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে মক ড্রিল (Mock Drill) চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। এবার বিভিন্ন রাজ্যকে মক ড্রিল করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

সাধারণত যুদ্ধের সময় বিপক্ষের নজর এড়াতে বা শত্রুপক্ষের বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করতে আলো নিবিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ৭ মে বুধবার এই মহড়া মহড়া দিতে বলা হয়েছে।

যে যে বিষয়ে মহড়া দিতে বলা হয়েছে-

  • বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা
  • হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী করণীয় তা দেখানো
  • সুরক্ষার স্বার্থে নাগরিকদের, বিশেষত পড়ুয়াদের ভূমিকা কী হবে
  • জরুরি পরিস্থিতিতে কী ভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হবে

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মহড়ার মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের শত্রু হামলার সময় কীভাবে দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয়, তা শেখানো হবে। মহড়ার সময় বিভিন্ন এলাকায় এয়ার রেইড সাইরেন বাজানো হবে, ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে এলাকা অন্ধকার করে দেওয়ার প্রক্রিয়া, অর্থাৎ ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ঢেকে রাখার কৌশল প্রয়োগ করা হবে। পুরনো ইভাকুয়েশন পরিকল্পনাও আপডেট করে পুনরায় পরীক্ষিত করা হবে।

রবিবার রাত ৯টা নাগাদ পঞ্জাবের ফিরোজ়পুর ক্যান্টনমেন্টে ‘ব্ল্যাকআউট ড্রিল’ করেছে সেনাবাহিনী। এ নিয়ে আগে থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছিল। এই জাতীয় মহড়ার মাধ্যমে কেন্দ্র চায় যাতে জনগণ শত্রুপক্ষের যেকোনও আক্রমণের সময় ভয় না পেয়ে সংগঠিতভাবে এবং প্রশিক্ষণ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক স্পষ্ট করেছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো নয়, বরং সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা গড়ে তোলা।

সকল নাগরিককে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন মহড়ার সময় স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলেন এবং কোনও গুজবে কান না দেন। নিরাপত্তা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version