ন্যায্য চাকরির দাবি জানিয়ে পুলিশের লাঠি পেটার শিকার বিহারের শিক্ষক পদের চাকরি প্রার্থীরা। যে বিজেপি বাংলায় চাকরিজীবীদের চাকরি খাওয়ার জন্য বারবার আদালতে মামলা করে রাজ্যের কর্মসংস্থানের পথ আটকে দেয়, সেই বিজেপি সহযোগী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) রাজ্যে যে চাকরিপ্রার্থীদের হেনস্তা হতে হবে তা বলাই বাহুল্য। সেই অশঙ্কাকে ফের একবার সত্যির করল নীতীশ কুমারের পুলিশ। শিক্ষক পদে ন্যায্য চাকরি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাইতেন জুটল পুলিশের লাঠি (lathi charge)।

২০২৪ সালে বিহার শিক্ষক নিয়োগের (teacher recruitment) পরীক্ষা হয়। ৮৭ হাজার ৭৭৪ পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও নিয়োগ পরীক্ষা হয়। কিন্তু নিয়োগের সময় ৫১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পত্র পান। যে পদে নিয়োগ বাকি রয়ে যায়, তার কোনও ফলও প্রকাশ করেনি নীতীশ সরকার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আন্দোলনের পথে নামেন বিহারের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা।

প্রাথমিকভাবে বিহার শিক্ষক নিয়োগ পর্ষদ সাপ্লিমেন্টারি রেজাল্ট (supplementary result) প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু আজও পর্যন্ত সেই ফলাফল প্রকাশ করতে ব্যর্থ বিহার স্কুল শিক্ষা দফতর। ফলে একাধিকবার নিজেদের ন্যায্য চাকরির দাবিতে আন্দোলনে বিহারের শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীরা।

মঙ্গলবার তারা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলনের পথে নামে। হাতে প্ল্য়াকার্ড নিয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দেয় তারা। আর তাতেই ভীত নীতীশ সরকার প্রথমে অবস্থানকারীদের উঠে যাওয়ার জন্য ঘোষণা করে। তাতে তারা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় শুরু হয় বেধড়ক লাঠিচার্জ (lathi charge)। বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের পাশাপাশি যারা পিছনে পালানোর চেষ্টা করেন তাঁদেরও ধাওয়া করে লাঠি পেটা করে বিহার পুলিশ। গোটা ঘটনায় নীতীশ কুমার সরকারকে মূল্যহীন, দুর্বৃত্ত সরকার বলে দাবি করেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
