প্রথমে বিয়ে। তারপর সস্ত্রীক রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণ রক্ষার্থে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটনে উপস্থিতি। আর এই নিয়েই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) নিশানা করছিলেন বঙ্গ বিজেপির (BJP) দলবদলু নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বর্ধিত বৈঠকে তাঁদের মুখে কুলুপ আঁটার নির্দেশ দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যদিও এই সভায় আমন্ত্রণ পাননি দিলীপ। তবে তাঁর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে হলে বাইরে প্রকাশ্যে নয়, দলের ভিতরে বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সতর্ক করা হয়েছে দলবদলু বিজেপি নেতা তথা সংসদ সৌমিত্র খাঁকে (Soumitra Khan)। এদিন দলের বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদ এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে ও অমিত মালব্যরা আলাদা করে কথা বলেন। পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কাকে করা হলে ভাল হবে তা জানতে চান। এই পদে কাকে বাছাই করা হবে সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।

এদিন সল্টলেক বিজেপি দফতরে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে দেন বঙ্গ বিজেপি প্রথম সারির নেতারা। যদিও এই বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে ডাকা হয়নি। তবে দিলীপ সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে দলীয় নেতাদের বিরত থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ নিয়ে যা বলার দলের মধ্যে বলুন। আমি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে অনুরোধ করব যা বলার দলের ভিতরে বলুন। দলের বাইরে কোনওরকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন।’’

বিজেপি সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে ও অমিত মালব্যর সঙ্গে বৈঠক হয় বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। সাম্প্রতিক অতীতে দিলীপ সম্পর্কে একাধিকবার প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন সৌমিত্র। পাল্টা তোপ দাগেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিও। এই নিয়ে এদিন সৌমিত্রকে কড়া বার্তা দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কড়া ওষুধে যে কাজ হয়েছে তা বোঝা গিয়েছে এ দিন সৌমিত্রর মন্তব্যে। দিলীপ প্রসঙ্গ এড়িয়ে তাঁর মুখে তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সংসদ রাহুল গান্ধীর প্রশংসা! রাজনীতিতে এঁদের স্থায়িত্ব আছে বলে মন্তব্য করেছেন সৌমিত্র।

এদিন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে ও অমিত মালব্যরা দলের বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদ এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কাকে করা হবে সেই বিষয়ে জানতে চান। এছাড়াও, জেলায় জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও কথা বলেন শান্তনু ঠাকুর, শমীক ভট্টাচার্য, অগ্নিমিত্রা পাল, নিশীথ প্রামানিক, দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে। তবে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি অন্য কেউ হবেন, নাকি সুকান্তই থাকবেন তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
আরও পড়ুন – বুধবার উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা! কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট?

_

_

_

_


_

_

_

_

_