Wednesday, November 5, 2025

রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের কাঁদুনিই ব্যাকফায়ার! জঙ্গি নিয়ে বার্তা স্পষ্ট করল ভারত

Date:

পহেলগাম হামলায় (Pahalgam attack) যত পাকিস্তানের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে ততই নিজেদের দোষ ঢাকতে দ্বারস্থ হচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের। সেখানেও আদতে পাকিস্তানের জঙ্গিপনাকে যে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, স্পষ্ট করে দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সেই সঙ্গে ভারত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও রাষ্ট্রসঙ্ঘে (United Nations) অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। তার পাল্টা ভারতের কূটনীতিক স্পষ্ট করে দেন, ভারতের কাছে নিজের নাগরিকদের নিরাপত্তাই প্রথম কর্তব্য। আর তার জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়ার সেটাই নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ (terrorism) না থামালে কোনও আলোচনা নয়।

গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তানের (Pakistan) তরফ থেকেই যুদ্ধজিগির তোলা হয়েছে বারবার। দেশের নেতা, মন্ত্রী থেকে সেনাপ্রধানরা বারবার যুদ্ধ হলে তারা প্রস্তুত বলে দাবি করার চেষ্টা করেছেন। অথচ ভারতের তরফ থেকে সেরকম কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। বাস্তবে সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) থেকে সীমান্ত ও বাণিজ্য বন্ধের মধ্যে দিয়ে যে কূটনৈতিক পদক্ষেপ ভারতের সরকার নিয়েছে, তাতেই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সমর্থক সরকার। এরপরেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানোর পথে যাওয়া বেছে নেয় পাকিস্তান। আর সেখানেই মুখ পুড়ল পাকিস্তানেরই।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতির পরিস্থিতিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্যদের আহ্বান জানিয়েই প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান। সব সদস্যের পক্ষ থেকে পাকিস্তান পরিচালিত জঙ্গি হামলার (terror attack) নিন্দা করা হয়। প্রশ্ন তোলা হয়, পাকিস্তানে বেড়ে ওঠা লস্কর-ই-তৈবা (LeT) কেন জঙ্গি হামলায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসল। জঙ্গি হামলায় পর্যটকদের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

তবে এরপরেও রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের সেনা অভ্যুত্থানে ভারত ও পাকিস্তানকে বিরত থাকার বার্তা দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ভারতের কূটনীতিক সৈয়দ আকবরুদ্দিন স্পষ্ট করে দেন, ভারত সেনাবাহিনী নিয়ে পথ এগোচ্ছে, তাতে দেশের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার জন্য়। তার জন্য়ই পহেলগাম হামলা (Pahalgam attack) পরবর্তীতে দশদিন ধরে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ভারত প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া সাম্প্রতিক সব চুক্তিই মেনে চলে। সেখানেই প্রশ্ন আদতে পাকিস্তান (Pakistan) কী সেই চুক্তির শর্ত মেনে চলছে?

সেই সঙ্গে পাকিস্তানের তরফ থেকে বারবার কাশ্মীরে নাগরিক অধিকার খর্ব করার অভিযোগেরও জবাব দেন আকবরুদ্দিন। তিনি স্পষ্ট করে দেন, ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হওয়ার পরে গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে কাশ্মীরের মানুষের কথা শোনা হচ্ছে। পরিস্থিতি যেখানে যেমন প্রয়োজন তৈরি করছে, সেভাবেই উত্তর দিচ্ছে ভারত সরকার। প্রশ্ন ওঠে, সেই পথে কী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় কোন পথে এগোবে ভারত। সেখানেই ভারতীয় কূটনীতিকের উত্তর, ভারত সিমলা চুক্তি (Simla Accord) নিয়ে এখনও এগোতে প্রস্তুত। বল এখন পাকিস্তানের কোর্টে। তাদেরও চুক্তি মানতে হবে। তারা আগে সন্ত্রাসবাদ (terrorism) থামাক। তারপরে আলোচনার পথ খুলবে।

Related articles

বিলাসপুরের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৮: মৃত চালকের উপরই দায় চাপানোর চেষ্টা!

বরাবর যেভাবে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ট্রেনের চালকের উপর দায় চাপিয়ে অব্যবস্থা ও পরিকাঠামোর অভাবকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে...

ঠাকুরবাড়িতে প্রকাশ্যে ঘরোয়া কোন্দল! শান্তনুর সঙ্গ ছাড়লেন দাদা সুব্রত 

মতুয়া সংগঠন ঘিরে দীর্ঘদিনের অন্দরের টানাপোড়েন এবার প্রকাশ্যে। পারিবারিক অশান্তি এবং সংগঠনের ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে দেখা দিল...

বিরোধীদের কুৎসায় কালি: রাজ্যে SIR প্রক্রিয়ার প্রথমদিন শান্তিপূর্ণ, তথ্য পেশ কমিশনের

নির্বাচন কমিশনের তরফে বিএলও। রাজনৈতিক দলের তরফে বিএলএ। রাজ্যের নাগরিক ভোটার। এই তিনের সমন্বয়ে মঙ্গলবার থেকে গোটা রাজ্যে...

খুব তাড়াতাড়ি আসবেন কলকাতায়, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তার উত্তরে জানান শাহরুখ

রবিবার শাহরুখ খানের ৬০তম জন্মদিন ছিল। এদিন শাহরুখকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শুভেচ্ছার এবার উত্তর...
Exit mobile version