হিংসা নয়, শান্তি চাই- মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হিংসার বিরোধিতায় স্লোগান তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerje)। সোমবারের পরে মঙ্গলবারও তিনি বলেন, বহিরাগত নিয়ে এসে বাংলায় অশান্তি বাধানো হচ্ছে। কোনও ভাবেই তিনি এই অশান্তি বরদাস্ত করবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বিজেপি কিংবা কোনও মৌলবাদী সংগঠনের কথা শুনে প্ররোচিত হবেন না। আপনারা নিজেরা ভাগ হওয়ার থেকে আমার গলাটা দেহ থেকে ভাগ করে দিন। তাতে আমি খুশি হব। কিন্তু অশান্তি আমি সহ্য করব না”।
এদিন সুতির ছাবঘাটির ক্ষুদিরাম দাস বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ থেকে সরকারি পরিষেবা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরে বক্তব্যে বাংলার একাতার ঐতিহ্য তুলে ধরেন মমতা। তাঁর কথায়, বাইরে থেকে লোক এনে অশান্তি করা হচ্ছে। এর পরেই সরাসরি গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, বিজেপির ফেক ভিডিও দেখে প্ররোচিত হবেন না। বিজেপি বা কোনও মৌলবাদী সংগঠনের উস্কানিতে পা দেবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerje) বাংলা মহিলাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বহিরাগতরা অশান্তি বাঁধাতে এলে, হাতা-খুন্তি নিয়ে তেড়ে আসুন। হিংসাকারীদের বাংলাছাড়া করুন। মমতার অভিযোগ, ”একেবার পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটনা হয়েছে। ধর্মের নামে কিছু বহিরাগতরা ভুল কথা ছড়িয়েছে। আর কিছু লোক প্ররোচিত হওয়ার ফলে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর গন্ডগোল লেগেছে।”
আরও খবর: দিঘায় ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা সরানোর অভিযোগ মিথ্যে, গুজবের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের
তীব্র কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”ওরা বলে আমি নাকি ধর্ম মানি না। ওদের কাছ থেকে আমাকে ধর্ম শিখতে হবে? আমি মানবিক ধর্ম পালন করি। মা মাটি মানুষ আমার গোত্র। জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময়ও এই গোত্রেই পুজো দিয়েছি।” এর পরেই সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ”কালীঘাটের স্কাইওয়াক করলে দাঙ্গাকারী দলটা কিছু বলেনা। আমি দুর্গাপুজো , ঈদ ,বড়দিন, বুদ্ধ পূর্ণিমা, জৈন-পারসিকদের মন্দির সব জায়গাতেই যাই। আমি মানুষ মানুষে বিভেদ করি না।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”কেন্দ্র সরকার কোনও আইন করলে অনেক সময় আমরা বিরোধিতা করেও কিছু করতে পারি না। কিন্তু এই রাজ্যে যতদিন আমি আছি হিন্দু- মুসলিম -শিখ বা অন্য কারও গায়ে স্পর্শ করতে দেব না।”
–
–
–
–
–
–
–
–