আজ দেশের শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি। গত বাজেটে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (DA) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে। সেই মতো নতুন অর্থবর্ষে ১৮ শতাংশ করে DA পেতে শুরু করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় হারে বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার দাবিতে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মামলা গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। আজ সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় সেদিকেই নজর পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদের।

বাংলার সরকারি কর্মচারীদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রের সঙ্গে ডিএ ফারাক নিয়ে বারবার রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন কর্মচারীদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব ততটা দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সদর্থক পদক্ষেপ করেছে। গত বছর বাজেটেও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে ২০২৩ সালের বড়দিনে ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের কার্যপদ্ধতি এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কাজের ধরন অনেকটাই আলাদা। পাশাপাশি কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের সরকারি অফিসে কাজ করা কর্মীরা অনেক বেশি ছুটি পেয়ে থাকেন। ডিএ আন্দোলনের নামে দিনের পর দিন অফিসে কাজ না করে সরকার বিরোধিতায় ব্যস্ত থাকা কর্মীরা সাধারণ মানুষকে পর্যাপ্ত পরিষেবা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সহনশীল বাংলার সরকার কারোর মাইনেতে কোনও কোপ বসাইনি। এমনকি এবারও এপ্রিল মাস থেকে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা সমেত স্যালারি সব সরকারি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। তা সত্ত্বেও কাজ ফাঁকি দিয়ে আন্দোলনের নামে রাজনীতি করে চলেছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ।

–
–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–

–