রাতে পাক জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতের হামলা। মৃত অন্তত ৯০ জঙ্গি। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি করা হয়, কোনও পাকিস্তানি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়নি। কোনও সাধারণ মানুষের উপরও হামলা চালানো হয়নি বলে দাবি করেন ভারতীয় সেনা (Indian Army) আধিকারিকরা। এই আঘাতের পরই প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা ভারতের প্রশাসনের। বুধবারই মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এরপরই সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের ডিজি ও মুখ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেই সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীর (paramilitary force) সব ছুটি বাতিলের ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বুধবারই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) সম্পর্কে বিস্তারিত পেশ করেন নরেন্দ্র মোদি। স্বাভাবিকভাবেই নিজের মন্ত্রিসভার থেকে পিঠচাপড়ানি আদায়ই ছিল উদ্দেশ্য। ভারতীয় সেনা কীভাবে পূর্ব সূত্র অনুসারে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণসহ নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। কোনও ভুল হয়নি সেই হামলায়। ভারতীয় সেনা, বিমান বাহিনী ও নৌসেনা যৌথভাবেই হামলা চালিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এরপরই প্রধানমন্ত্রী দেখা করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) সঙ্গেও। এয়ার স্ট্রাইকের কয়েকদিন আগেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পরেও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
এরপরই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দেশের ১০টি সীমান্তবর্তী রাজ্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তিনি। রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, ডিজিপি ও মুখ্যসচিবদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। বৈঠকে যোগ দেন জম্মু ও কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলা ও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীরা। যোগ দেন লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নররাও।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক (all party meeting) ডাকা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বেলা ১১টায় সংসদের লাইব্রেরিতে বৈঠক হবে বলে জানান সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। মূলত অপারেশন সিন্দুর পরবর্তীতে কোন পথে দেশের মানুষের প্রতিরক্ষা সম্ভব ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সর্বদল বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
–

–

–

–

–


–

–

–

–
