পহেলগামে নৃশংস জঙ্গি হামলায় সদ্য বিবাহিত স্বামী লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালকে হারিয়েছেন হিমাংশী। ‘অপারেশন সিন্দুর’কে (Operation Sindur) তাই পহেলগাম হামলার যোগ্য জবাব বলে জানালেন তিনি। ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর খবর শুনে হিমাংশী (Himanshi) কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছেন এই অভিযান জারি রাখার জন্য।

হিমাংশী জানান, “আমার স্বামী প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি দেশের শান্তি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। তিনি দেশ থেকে ঘৃণা ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে চেয়েছিলেন। আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি তাদের অনুরোধ করছি যে তারা এই অভিযান যেন এখানেই শেষ না করে। সন্ত্রাসবাদকে গোড়া নির্মূল করা প্রয়োজন। যাতে আমার সঙ্গে যা হয়েছে, তা যেন অন্য কারও সঙ্গে না হয়।

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নামকরণ ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindur) প্রসঙ্গে হিমাংশীর মত, “আমি এই নামের সঙ্গে নিজেকে দেখতে পাচ্ছি। আমি একটা প্রাণ হারিয়েছি। সম্ভবত এখনও কেউ বুঝতে পারছেন না, আমার জীবনে কী ঘটে গিয়েছে কিংবা আমার সঙ্গে কী ঘটেছে।”
ভারতের অভিযান নিয়ে এদিন সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। এ ব্যাপারে হিমাংশী বলেন, “একজন মহিলাই একজন মহিলার যন্ত্রণা বুঝতে পারেন। এটা দেখে ভাল লেগেছে যে, কোনও মহিলা অফিসারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি প্রতিরক্ষা বিভাগেও পুরুষ-মহিলার সমানপদে, যোগ্য সম্মানে কাজ করা উচিত।” একইসঙ্গে তাঁর স্বামীর জন্য সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানের দাবি জানিয়েছেন হিমাংশী।

স্বামীর মৃত্যুর পরপরই হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের দাবি এবং কাশ্মীরিদের সমর্থন চাওয়ার জন্য তিনি যে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন, তার কথা উল্লেখ করে হিমাংশী বলেন, “আমার মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার কথাগুলি যেভাবে বিকৃত করা হয়েছে এবং আমার বিরুদ্ধে যে অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তাতে আমি মর্মাহত। আমি একজন সাহসী সেনার স্ত্রী। হামলার পর আমি পহেলগামে দু-ঘণ্টা একা দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি একা ছিলাম না আরও ২৬ জন মহিলা সেখানে ছিলেন। আমরা আশা করেছিলাম সরকার এবং সেনাবাহিনী আমাদের কষ্ট স্বীকার করবে।”
আরও খবর: ২ মহিলা সেনা ব্যোমিকা-সোফিয়ার কৃতিত্বের খতিয়ান
–

–

–

–

–


–

–

–

–
