পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাক-জঙ্গিদের একাধিক আঁতুড়ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও সীমান্তে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে এক বঙ্গসন্তানের পরিবার।

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ পহেলগাঁও হামলার ঠিক পরেই ‘ভুল করে’ পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন এবং সেখানেই পাক রেঞ্জারদের হাতে বন্দি হন। তারপর থেকে কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। ভারতের পাল্টা এয়ারস্ট্রাইকের পরে পূর্ণমের মুক্তি নিয়ে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে।

পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ ইতিমধ্যেই পাঠানকোটের বিএসএফ হেড কোয়ার্টারে গিয়েছেন স্বামীর খোঁজে। কিন্তু মঙ্গলবারের প্রত্যাঘাতের পর আতঙ্ক যেন গিলে খাচ্ছে তাঁকে। চোখে জল নিয়ে রজনী বলেন, “এখন আর কোনও আশা দেখছি না। যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম, প্রত্যাঘাতের আগেই পাকিস্তান পূর্ণমকে ছেড়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। এখন ওঁকে আর ছাড়বে না।”
পূর্ণমের পরিবার বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে, যেন কূটনৈতিক স্তরে উদ্যোগ নিয়ে তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্য সরকারের তরফেও দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মনোভাব আরও কঠিন হয়ে উঠেছে বলেই ধারণা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এখন সকলের চোখ রয়েছে ভারত সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। আদৌ পূর্ণম কুমার সাউ দেশে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে উদ্বেগে গোটা দেশ।

আরও পড়ুন – ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আলোচনায় আজ কেন্দ্রের সর্বদল বৈঠক
_

_

_

_

_


_

_

_

_

_