আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে দেশের উন্নয়নে যে অর্থ সাহায্য করা হয় তা পাকিস্তান রাষ্ট্রপরিচালিত সন্ত্রাসবাদের (cross border terrorism) পিছনে খরচ করে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের (IMF) রিভিউ বৈঠকে (review meeting) দাবি ভারতের। আইএমএফের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়ে পাকিস্তান যে আবেদন করেছিল তার রিভিউ বৈঠকে পাকিস্তানের মিথ্যাচার আবার প্রকাশ্যে চলে এলো।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রকের তরফেই আইএমএফ-এর কাছে এই যুদ্ধের পরিস্থিতিতে অর্থ সাহায্য দাবি করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রচার হতেই পাকিস্তান দাবি করে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক (hack) করে কেউ এধরনের বার্তা ছড়িয়েছে। আদৌ পাকিস্তান কোন অর্থ সাহায্য চায়নি। অথচ শুক্রবারে সেই অর্থ সাহায্য নিয়ে রিভিউ বৈঠক ডাকে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (IMF)। সেখানেই আবার স্পষ্ট হয়ে গেল টাকা চেয়েও অস্বীকার করার পাকিস্তানের মিথ্যাচার।
আইএমএফ-এর এক বিলিয়ন পাকিস্তানকে ধার দেওয়ার আবেদনে রিভিউ বৈঠক শুরু করে আন্তর্জাতিক অর্থ দানের এই মঞ্চ, যেখানে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সেখানেই ভারত নিজেদের বক্তব্যে জানায় তারা পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ (loan) দেওয়ার পক্ষের নয়।
ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়, পাকিস্তানের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের রাজনীতি ও ঘরোয়া বিষয়গুলিতেও চালিকাশক্তি পাকিস্তানের সেনা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টেও তা প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি পাকিস্তানের বিনিয়োগেও প্রধান চালিকাশক্তি এই সেনাবাহিনী।
সেই সঙ্গে পাকিস্তানের ঋণ (debt) এখন পাহাড় প্রমাণ, যা আইএমএফ-এর (IMF) অর্থ সাহায্য দিয়েও কোনওভাবে পূরণ করা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে ভারত উল্লেখ করে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপরিচালিত আন্তর্দেশীয় সন্ত্রাসবাদের (cross border terrorism)। ফলে সেখানে অর্থ সাহায্য করার অর্থ, ঋণদানকারী সংস্থার খ্যাতিতে প্রভাব ফেলা। পাকিস্তানের অতীত ইতিহাস জানার পরেও আইএমএফ যদি তাদের অর্থ ঋণ দেয় তবে আইএমএফ-কে অর্থ সাহায্য করা দেশগুলি প্রভাবিত হতে পারে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–