পেহেলগাম জঙ্গি হামলার জেরে গোটা দেশে ব্যাপক সতর্কতা জারি। রাজ্যেরও বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তল্লাশিতে বীরভূমের নলহাটি এবং মুরারই থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হল। শুক্রবার দুজনকেই রামপুরহাট আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে এসটিএফ। তাদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যদের সন্ধান চালানো হবে এসটিএফ-এর তরফে।

ধৃত আজমল হোসেন (২৮), বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা। অন্য জন সাহেব আলি খান(২৮) মুরারইয়ের বাসিন্দা। এই দুই যুবকই বাংলাদেশের জেহাদি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য। এদের কাজ ছিল মূলত এদেশীয় মুসলিম যুবকদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানি মূলক প্রচার করা, ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করা। এছাড়াও ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্য তাঁরা নানাভাবে পরিকল্পনা করে হামলা করার ছক কষছিল এই যুবকরা। এই সমস্ত বিষয়ই করা হত গোপন সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করে।

সূত্রের খবর, অনুযায়ী মৌলবাদী জেহাদিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি এদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ছিল। এরা মগজধোলাই করার পর এই নেটওয়ার্কে যুবকদের যুক্ত করা হত। গোটা নেটওয়ার্কের সন্ধান করতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাবেন এসটিএফ-এর আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন – অপারেশন ‘সিন্দুর’- এর সেনাদের সম্মান জানাতে কর্ণাটকে মসজিদ-মন্দিরে একযোগে প্রার্থনা

_
_

_

_

_

_


_

_

_

_

_