ভারত, পাকিস্তান রাজি সংঘর্ষ বিরতিতে! দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

Date:

Share post:

সকালে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মার্কো রুবিও (Marco Rubio)। যদিও দুই দেশের তরফেই সেই কথাবার্তায় কোনও সমাধানের পথ খোলেনি বলেই জানানো হয়। এমনকি এরপরেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সেনার তিন প্রধান ও এনএসএ অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই আচমকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) তরফে জানানো হয় ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরস্পরের প্রতি অগ্নিবর্ষণ থামাতে (de-escalation) সম্মত হয়েছে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা জানান তিনি। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানান দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের।

সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে একাধিকবার দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে বৈঠকে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও কার্যত একই ফলাফল পেয়ে হতাশ ডোনাল্ড ট্রাম্প। কার্যত সেখানে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, যুদ্ধে নামা কোনও দেশ না চাওয়া পর্যন্ত সেই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি সম্ভব নয়। তবে ভারত-পাকিস্তানের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম প্রথম থেকেই।

ভারতের তরফ থেকে বার বার অবস্থান স্পষ্ট করে জানানো হয়েছিল, শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি ভাঙতে যে পদক্ষেপ ভারতের তরফ থেকে তা-ই নেওয়া হয়েছে। পাল্টা পাকিস্তান নাগরিক হামলার পথ বেছে নিলে ভারত পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। সেই পন্থা অনুসারে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পাকিস্তান ভারতের ২৬-এর বেশি জায়গায় হামলা ও নাগরিক হত্যা জারি রাখলে ভারতে পাকিস্তানের তিন এয়ারবেসে হামলা চালায়। এই পরিস্থিতিতেই মার্কিন আধিকারিকরা দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন।

একদিকে মার্কি স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রধান মার্কো রুবিও, অন্যদিকে মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি জে ডি ভান্স কথা বলেন ভারতের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে। পাশাপাশি তাঁরা পাকিস্তানের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনির ও নিরাপত্তা আধিকারিক আসিম মালিকের সঙ্গে কথা বলা হয় মার্কিন তরফে। অন্যদিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রথমে মার্কিন আধিকারিক রুবিও কথা বললে সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, পাকিস্তানের তরফ থেকে পিছু হঠার সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে ভারত পিছু হঠবে না। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও কথা বলা হয়।

এই কথাবার্তার পরেই পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতকে ফোন করা হয় বলে দাবি আমেরিকার। আর সেই সংঘর্ষ বিরতির কৃতিত্ব নিতে লাফিয়ে পড়েন মার্কিন রাষ্ট্রপতি থেকে আধিকারিকরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শাহবাজ শরিফকে তাঁদের জ্ঞান, বিচক্ষণতা ও শান্তির পথ বেছে নিতে যে রাষ্ট্রনায়কত্বের পরিচয় তাঁরা দিয়েছেন তার প্রশংসা করা হয় আমেরিকার তরফে।

spot_img

Related articles

বাতিল সাংবাদিক সম্মেলন! আসন বাঁটোয়ারা নিয়ে তীব্র অশান্তি গেরুয়া শিবিরে

রবিবার রাতে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আসন বণ্টন সংক্রান্ত চূড়ান্ত ঘোষণা করার পরেও অশান্তির আগুনে জ্বলতে শুরু...

অস্ট্রেলিয়া সফরে নেতৃত্ব বদল, গিলের পরিবর্তে রোহিতই করবেন ভারতের অধিনায়কত্ব?

টেস্টের পর এক দিনে ক্রিকেটেও ভারতীয় দলের নেতৃত্বের ভার পেয়েছেন শুভমান গিল(Shubhaman Gill)। আসন্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের(ODI) সিরিজে...

বিজয়া সম্মিলনীতে অভিষেককে ঘিরে নেতা-কর্মীদের আবেগ-উচ্ছ্বাস, ফের ‘সেবাশ্রয়ে’র সিদ্ধান্ত ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের

ছিল ডায়মন্ড হারবারের বিজয়া সম্মিলনী। কিন্তু দিনের শেষে সেটি হয়ে গেল কার্যত সারা জেলার বিজয়া সম্মিলনী। প্রিয়নেতা ডায়মন্ড...

ডার্বির কথা ভাবতে নারাজ অস্কার, নামধারীর বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন হিরোশি?

মঙ্গলবার আইএফএ শিল্ডে(IFA Shield) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল(East Bengal)। প্রতিপক্ষ নামধারী এফসি(Namdhari fc)। শ্রীনিধি ডেকানের...