ভোটের ময়দানে নতুন কৌশল নিয়ে নামছে বিজেপি। আগামী ১৩ মে থেকে শুরু হচ্ছে অভিনব প্রচার অভিযান — ‘তিরঙ্গা যাত্রা’, যার অন্তর্নিহিত নাম ‘অপারেশন সিন্দুর’। চলবে টানা ১০ দিন, ২৩ মে পর্যন্ত। যদিও ‘তিরঙ্গা’ নাম শুনে প্রথমে স্বাধীনতা আন্দোলনের মিছিল বলেই মনে হতে পারে, রাজনৈতিক মহল মনে করছে এটি আসলে এক নির্বাচনী কৌশল, যার মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক শক্তি এবং ‘দেশপ্রেম’-এর বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে দেশের আনাচে-কানাচে।

বিজেপির শীর্ষ নেতারা যেমন সাম্বিত পাত্র, ভিনোদ তাওড়ে, তারুণ চুঘ—এই অভিযানের রণকৌশলে যুক্ত রয়েছেন। ‘তিরঙ্গা’ হাতে নেতারা ঘুরবেন রাজ্য থেকে রাজ্যে, গ্রাম থেকে গ্রামে। তাঁদের সঙ্গে থাকবে মাইক, গগনবিদারী স্লোগান, আর ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর বর্ণনা। দল বলছে, “এটি দেশপ্রেমের যাত্রা, এক গর্বের অভিযাত্রা।”

তবে সমালোচকদের মতে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ আদতে ‘অপারেশন ভোটসংগ্রহ’। জাতীয় পতাকার আবরণে লুকিয়ে রয়েছে নির্বাচনী বার্তা ছড়ানোর সূক্ষ্ম চেষ্টা। বিরোধীদের মন্তব্য, “এটা লোকসভা ভোটের ট্রায়াল রান।” সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া আরও সরস—“তিরঙ্গা ঠিক আছে, কিন্তু পেট্রোলের দাম কমবে কবে?”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটের মুখে এই যাত্রা বিজেপির সংগঠনে প্রাণসঞ্চারের চেষ্টা। একদিকে সংগঠনকে চাঙ্গা করা, অন্যদিকে জাতীয়তাবাদের আবেগকে তুলে ধরে ভোটারদের মন কাড়ার কৌশল। প্রশ্ন উঠছে—তিরঙ্গা যদি দেশের আশা, অধিকার ও ন্যায়ের প্রতীক হয়, তবে তা কি ভোটবাক্সের পাশে দাঁড়িয়ে ব্যবহারের বস্তু হতে পারে? তবে যাত্রা শেষে বোঝা যাবে, তিরঙ্গা শুধু ওড়ানো হয়েছে, নাকি সত্যিই দেশের আবেগকে সম্মান জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন – জঙ্গি ও মদতদাতাদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিন্দুর’ জারি থাকবে: কড়া বার্তা মোদির
_

_

_

_

_


_

_

_

_

_