বাণিজ্য বন্ধ করার হুমকি দিয়েই কার্যত ভারত ও পাকিস্তানকে সংঘর্ষ থেকে বিরত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার প্রকাশ্যে বাণিজ্যের শর্তে সংঘর্ষ থামানোর যুগান্তকারী ক্ষমতা জাহির করতেও পিছপা হননি ট্রাম্প (Donald Trump)। এবার সেই দাবিকেই নস্য়াৎ করে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল দাবি করেন, মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় কোনও বাণিজ্যের প্রসঙ্গ আসেনি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষ আলোচনা করেই শান্তির পথে এসেছে দুটি দেশ। কেউ মধ্যস্থতা করেনি। এবং সেখানে কোনও পরমাণু বোমা নিয়ে হুমকির প্রসঙ্গও আসেনি বলে জানান তিনি।

সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে দুই দেশের সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করে দেন ট্রাম্প। তা নিয়েই সমালোচনা শুরু হয়। সেই ঘোষণায় তিনি দাবি করেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চলছে আমেরিকার, ভবিষ্যতে তা নিয়ে আশার আলো রয়েছে, এমন দাবি করেন তিনি। এই বার্তা দেওয়ার পর দুই দেশ সংঘর্ষ বিরতির পথে যায় বলে দাবি ট্রাম্পের। সেই দাবি মঙ্গলবার নস্য়াৎ করে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি, ৭ মে অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) হওয়ার পর থেকে ১০ মের সামরিক অভিযান চলার মধ্যে আমেরিকার নেতৃত্ব স্থানীয়দের কথা হয়। কিন্তু কোথাও বাণিজ্য নিয়ে কোনও কথা ওঠেনি।

সেই সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করতে গিয়ে ট্রাম্প এটাও দাবি করেছিলেন, তিনিই এশিয়ায় একটি বড় পারমাণবিক (nuclear power) যুদ্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। নাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ চলে যেত। আর মঙ্গলবার সেই বক্তব্যকেও নস্য়াৎ করে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। ভারতের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল দাবি করেন, দুই দেশের সংঘাতের পরিস্থিতিতে কখনই পারমাণবিক শক্তি প্রয়োগের প্রসঙ্গ ওঠেনি। পাকিস্তানের তরফে বৈঠকের একটি খবর ছড়ালেও পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif) দাবি করেন, সেই ধরনের গুজব মিথ্যা। এমনকি দুই প্রতিবেশী দেশ আলোচনার মধ্যে দিয়েই যে প্রাথমিক সমাধানে পৌঁছেছে, এমনটাও দাবি করেন তিনি। সেক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কথাও অস্বীকার করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
