Saturday, August 23, 2025

এপ্রিল থেকেই ভাতা পাবেন চাকরিহারা গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি কর্মীরা: মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

২০১৬-র চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি (Group C-Group D) কর্মীদের পাশে থাকার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘোষণা করেছিলেন ভাতার। বুধবাম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্তের পরে সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান ২০২৫-এর এপ্রিল মাস থেকে এই ভাতা দেওয়া শুরু হবে। গ্রুপ সি কর্মীরা ২৫,০০০ টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীরা ২০,০০০ টাকা মাসিক ভাতা পাবেন।

নিয়োগে মামলায় এসএসসির ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর জেরে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী মিলিয়ে প্রায় ২৬ হাজার মানুষ কর্মহারা। এদের মধ্যে কোনও সমস্যা না থাকা শিক্ষকদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনও সময় দেয়নি আদালত। এই বিষয়ে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীদের আগেই পাশে থাকা নির্দেশ দেন মমতা। জানিয়েছিলেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গ্রুপ সি কর্মীদের মাসিক ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।

এদিন রাজ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল লেবার ডিপার্টমেন্টের আওতায় ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলি হুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিমে ২০২৫-এর পয়লা এপ্রিল থেকে প্রতিমাসে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি (Group C-Group D) কর্মীদের যথাক্রমে ২৫০০০ ও ২০০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। মমতার কথায়, ”চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য আমরা জানিয়েছিলাম। একটা স্কিম তৈরি করেছি। সংসার চালানোর জন্য লেবার দফতরের অধীনে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড’ এবং ‘সোশ্যাল সিকিউরিটি’ অন্তর্গত এই ভাতা দেওয়া হবে। ১ এপ্রিল থেকে মাসে গ্রুপ সি ২৫ হাজার এবং গ্রুপ ডি ২০ হাজার করে ভাতা পাবে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ-কেউ হয়ত বলবে দরকার নেই। এবার টাকাটা দেওয়া শুরু হবে। এটা তার একান্ত স্বাধীনতা। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। এটা পলিসি করে নেওয়া হয়েছে।”
আরও খবরশিল্পোন্নয়নের জোয়ার! নিউটাউনে ২৫ একর জমিতে ‘বিশ্বঅঙ্গন’, রঘুনাথপুরে ১০টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এর পরেই নিয়োগ নিয়ে একের পর এক জনস্বার্থ মামলাকে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, “এখানে তো অনেকে কথায় কথায় পিল খায়, পিল খেয়ে কিল দেয় মানুষকে। খেতে দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই! এই জন্যই আমাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুদানের স্কিম চালু করলাম।” মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীর।

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...