অপারেশন সিঁদুরে নেতৃত্ব দেওয়া কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে (Sophia Qureshi) নিয়ে বিজেপি মন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন ধর্মান্ধ মন্তব্যের পড়া সমালোচনা করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার আদালতে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের তিরস্কারের মুখে পড়েন মধ্যপ্রদেশ বিজেপির মন্ত্রী বিজয় শাহ। তাঁকে স্পষ্ট ভাষায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, যান গিয়ে ক্ষমা চান। প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য এবং অসংবেদনশীল বলে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, সাংবিধানিক পদে থাকা কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশাপ্রদ নয়। কীভাবে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন একজন মন্ত্রী। যান হাই কোর্টে গিয়ে এখনই ক্ষমা চান।

প্রকাশ্য সভায় বিজেপি মন্ত্রী মন্তব্য করেন, পহেলগামে জঙ্গিহানার জবাব দিতে প্রধানমন্ত্রী মোদিজি তাঁদের বোনকেই বদলা নিতে পাঠিয়েছি। কর্নেল কুরেশিকে ঘুরিয়ে তিনি ‘জঙ্গিদের বোন’ আখ্যা দেন। এরপরই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট বিজেপি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ইন্দোরের একটি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন করেছিলেন বিজয়। তা খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, একদিনে আপনার কোনও কিছুই বদল হবে না। আপনি কী করে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করতে পারেন। বুধবার হাইকোর্টের পর এদিন সুপ্রিম দরবারে গিয়ে জোর ধাক্কা খেলেন বিজয় শাহ (Vijay Shah)। উল্লেখ্য, পহেলগাম জঙ্গি হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে নটি জঙ্গিহাটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। সেই অভিযানের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সাংবাদিক বৈঠকে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। অপারেশন সিন্দুরের (Operation Sindoor) বিফ্রিংয়ে দুই মহিলা আধিকারিককে সামনে এনে দেশের নারীশক্তিকে তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়েছিল গোটা বিশ্বকে। কিন্তু বিজেপির মন্ত্রী কর্নেল কুরেশিকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ফের বিজেপির ধর্মান্ধতার পরিচয় দেন। সুপ্রিম কোর্টে তিরস্কারের পর বিজেপি মন্ত্রী বলেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি কর্নেল কুরেশির কাছে ১০ বার ক্ষমা চাইতেও প্রস্তুত। তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি। দেশজুড়ে নিন্দার মুখে পড়েন বিজয়। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির ধর্মান্ধ রাজনীতি নিয়ে সরব হয়। এটাই বিজেপির মেকি দেশভক্তি বলে খোঁচা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)।

–

–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–

–