তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজ্যের সব জেলায় ও সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের পদে ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আগের থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবার নেতৃত্বে সাংগঠনিকভাবে একাধিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মতো বীরভূম জেলার পরিচালনায় কোর কমিটি (core committee) রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিভিন্ন মহল থেকে একে নেতিবাচকভাবে দেখানোর যে অপচেষ্টা শুরু হয়েছে, তার সরাসরি জবাব দিল বীরভূম কোর কমিটি (Birbhum core committee)। রবিবারই প্রথম বৈঠকে বসেন কোর কমিটির সদস্যরা। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিভাজনমূলক বক্তব্য পেশ হলে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

নয় সদস্যের কোর কমিটির সদস্যরা রবিবার বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে। যদিও সাংসদ শতাব্দী রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না এদিন। তবে কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ তারিখ জেলার তিন মহকুমা শহর – রামপুরহাট, বোলপুর ও সিউড়িতে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা সাধারণ সম্পাদক আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Asish Banerjee) জানান, সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আলোচনা হয়েছে। দলের সকলেই তাঁদের মতামত রেখেছেন। সবাই একসুরেই কথা বলেছেন। সবাই একভাবেই চলবেন।

যেখানে দলীয় নেতৃত্বরা নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব রেখে এগোনোর কথা বলছেন, সেখানেই বিরোধীদের উস্কানিতে প্রকাশ্যে আসছে বিভাজনমূলক কথাও। এদিন সেই বিষয়ে সতর্ক করে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সব নেতৃত্বের কাছে আবেদন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভাজন সৃষ্টি করে যে বিভাজনমূলক বক্তব্য রাখা হচ্ছে, কেউ কেউ রাখছেন। সেগুলি পরিপূর্ণভাবে দমন করা হবে। নিজের উদাহরণ টেনেই তিনি দাবি করেন, যদি দেখা যায় আমারই কোনও অনুগামী এমন কোনও বক্তব্য রাখছেন যাতে বিভাজনমূলক ইঙ্গিত থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিভিন্ন মহল থেকে বীরভূম কোর কমিটি (Birbhum core committee) নিয়ে কুৎসা ছড়ানো নিয়ে এদিন জবাব দেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করেন, দল সম্পূর্ণ এক ও ঐক্যবদ্ধ পরিবার। আরও যাতে গতিশীল হয় দল, যেখানে আরও ভালো করা সম্ভব সেখানে আরও ভালো করতে হবে। সেই লক্ষ্যে নেতৃত্ব ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে যদি কোনও পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন সেটা ইতিবাচক।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
