পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের খাতে পড়ে থাকা অব্যবহৃত অর্থ ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ৩১ মে-র মধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে সেই টাকা ফেরত পাঠাতে হবে।

অর্থ দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর বিভিন্ন দফতরকে নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হলেও অনেক সময় সেই টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবহার না করে এলএফ বা পিএল ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়। কোথাও কোথাও এই অর্থ ফিক্সড ডিপোজিটে রেখে তার থেকে সুদ আয় করে অন্য খাতে খরচ করার নজিরও রয়েছে। এই প্রবণতা রুখতে রাজ্য সরকার ২০১৭ সাল থেকেই একাধিকবার নির্দেশিকা জারি করলেও এবারে তা আরও জোরালো করা হয়েছে। অর্থ দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০০ সালের মার্চ বা তার আগের সময় থেকে পড়ে থাকা অব্যবহৃত অর্থ নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে তথ্য-সহ ফেরত পাঠাতে হবে

তবে বিধায়ক ও সাংসদের তহবিল, আরআইডিএফ প্রকল্প এবং জমি কেনার জন্য বরাদ্দ অর্থ এই নির্দেশিকার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। অর্থ দফতর জানিয়েছে, ফেরত পাওয়া এই অর্থ অন্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় করা হবে। কোনও দফতর যদি মনে করে, নির্দিষ্ট খাতে ওই অর্থ রাখা অত্যাবশ্যক, তাহলে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিয়ে অনুমোদন নিতে হবে অর্থ দফতরের কাছ থেকে। অনুমোদন ছাড়া টাকা আটকে রাখলে তা জোরপূর্বক আদায় করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজ্য সরকার অনাবশ্যক অর্থ আটকে থাকার প্রবণতা বন্ধ করে তা যথাযথ কাজে ব্যবহার করার রাস্তায় হাটতে চাইছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

আরও পড়ুন – এভারেস্ট জয় মনোজ ভার্মার দেহরক্ষী কনস্টেবল লক্ষ্মীকান্তের! শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

_

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
