বিদেশি শরণার্থী ইস্যুতে শ্রীলঙ্কার এক তামিল নাগরিকের আবেদন খারিজ করে কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট । বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, “ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, গোটা বিশ্বের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার দায় আমাদের নেই।”

এই মামলার মূল অভিযুক্ত শ্রীলঙ্কার এক তামিল নাগরিক, যাঁর বিরুদ্ধে আগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এলটিটিই (LTTE)-র সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয় এবং মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরে সাজা কমিয়ে ৩ বছর করা হয় ও সাজার মেয়াদ শেষ হলে ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, অভিযুক্ত ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন এবং দেশে ফেরত পাঠালে তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। আরও জানানো হয়, তিনি ৩ বছর ধরে ডিপোর্টেশন ছাড়াই হেফাজতে রয়েছেন, এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তান ভারতে বসবাস করেন, তাই মানবিক দিক বিবেচনায় ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হোক। তবে আদালত সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে কঠোর মন্তব্য করে জানায়, “ভারত কি গোটা বিশ্বের উদ্বাস্তুদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে?” বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, ভারতের সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেবলমাত্র দেশের নাগরিকদেরই স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে।

এই রায় ফের একবার স্পষ্ট করে দিল, বিদেশি নাগরিকদের শরণার্থী হিসেবে ভারতে থাকার অনুমতির বিষয়ে শীর্ষ আদালত এখন অনেক বেশি কঠোর মনোভাব নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে এই রায় আন্তর্জাতিক উদ্বাস্তুদের বিষয়ে এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন – এশিয়া কাপ নিয়ে এখনও কোনও ভাবনা নেই, জানিয়ে দিলেন বিসিসিআই সচিব

_

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
