অংশুমান চক্রবর্তী

নাটক (Theatre) বলে জীবনের কথা। আবার বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে কিছু কল্পনার সমাহারে বিন্যাস হয় নাট্য ভাবনার। বার্তা যায় সমাজের কাছে, প্রতিষ্ঠিত হয় চিরন্তন সত্য। সাহিত্যিকের কলমের প্রতিটা ছোঁয়ার সঠিক অনুরণন, মঞ্চে যে কত বড় ‘হুলস্থুল’ কাণ্ড তৈরি করতে পারে তার প্রমাণ মিলল গত ১৯ মে কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ (Academy of Fine Arts, Kolkata)। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের (Shirshendu Mukhopadhyay) উপন্যাস অবলম্বনে মঞ্চস্থ হল সংলাপ কলকাতার নাটক ‘হুলুস্থুল’ (Hulusthul)। মঞ্চ, আলো, আবহ, সম্পাদনা এবং পরিচালনায় দেবাশিস। নাটকের বিষয়বস্তু একটু অন্যরকম। মন কাড়ল দর্শকদের।

নাটকের শুরুতে কলকাতার উপকণ্ঠে দেখা মেলে এক আশ্চর্য ফেরিওয়ালার। আপাত বাতিল জিনিসপত্র তিনি ফেরি করেন। সেই বাতিল জিনিসপত্রের মধ্যে হঠাৎ করে খোঁজ মেলে ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানের। সৎ নির্ভিক জ্ঞান পিপাসুদের জন্য তা ফলপ্রসু করার চেষ্টা খানিকটা সফল হয়। কিন্তু সুন্দর কলম এই গল্পে ভিলেনের আবির্ভাব ঘটিয়েছে। মঞ্চেও তাই কিছু দুষ্টু মানুষ বিজ্ঞানের এই অভিনব শক্তিকে কব্জা করার ষড়যন্ত্র করেন। বেঁধে যায় গণ্ডগোল। যাকে বলে হুলস্থুল কাণ্ড । এই নাটক বাস্তব এবং পরাবাস্তবতার মধ্যে দিয়ে চালিত হয়। মূল লক্ষ্য সত্য ও শুভর প্রতিষ্ঠা। অসত্য ও অশুভের পরাজয় দেখানো। শর্মিলা বসু থেকে শুরু করে বিতানবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় (গজপতি), গুরুপদ মিত্র (নজর আলী), সৌমেন চক্রবর্তী (শ্যাডো), ঋক দেবের (ঝুকি) অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে।

–

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–
–