আদালত বলেছিল, শিক্ষকরা শিক্ষকদের মতো আচরণ করুন। তার পরেও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বাড়ির সামনে অভব্য আচরণ বিক্ষোভকারীদের একাংশের। বৃহস্পতিবার, শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীদের কয়েকজন। তাঁদের দাবি, শিক্ষা মন্ত্রী সেখানে বেরিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

২০১৬ সালের পুরো SSC-র প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। পরবর্তীতে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে ক্লারিফিকেশন চেয়ে আবেদন করা হয়। সেই সময়েই ‘টেন্টেড’ প্রার্থীরা বাদ দিয়ে বাকিদের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্কুলে যাওয়া ও বেতন চালু থাকার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। স্কুলে যোগদান করার জন্য জেলা ডিআই অফিস ও প্রধান শিক্ষকের কাছে শিক্ষকদের যে তালিকা পাঠানো হয় তাতে তাঁদের নাম নেই বলেই দাবি এই শিক্ষকদের। বৃহস্পতিবার, এক বিক্ষোভকারী শিক্ষকের অভিযোগ, “১৭,২০৬ জনের স্কুলে ফেরত যাওয়ার কথা। কিন্তু তার মধ্যে ১৫ হাজার শিক্ষক স্কুলে যেতে পারছেন। আমরা বার বার করে বিভিন্ন দফতরে গিয়েছি, কিন্তু সকলেই আমাদের কথা শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষা দফতর জানে আমরা স্কুলে যাচ্ছি এবং বেতন পাচ্ছি। কিন্তু আমরা স্কুলে যোগ দিতে পারিনি”।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করছে পর্ষদ ও রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর (Bratya Basu) সঙ্গে দেখা করার আর্জি নিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে প্রশ্ন উঠছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে যেটা হচ্ছে সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। এটা কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। চাকরি চলে যাওয়ার জন্য ব্রাত্য বসু দায়ী নন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এটা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) এই বিষয়ে সহানুভূতিশীল। তিনি আইনিভাবে এই বিষয়টার সমাধান করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন কিছু পদক্ষেপও করেছেন। এই পরিস্থিতিতে এভাবে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ অনভিপ্রেত এবং কোনও অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য নয়। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, যাঁরা চাকরি খাওয়ার রাজনীতি করছেন তাঁদের বাড়ির সামনে যান।

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
