আবারও অমানবিকতার পরিচয় দিল পাকিস্তান। প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়া এক যাত্রীবাহী বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা সাময়িকভাবে ব্যবহার করতে চেয়ে আবেদন জানায়, কিন্তু সেই আর্জি মুখের উপর খারিজ করে দেয় ইসলামাবাদ। ফলে জীবনসংশয় তৈরি হয় বিমানে থাকা প্রায় ২২০ যাত্রীর। শেষ পর্যন্ত কোনওরকমে দুর্ঘটনা এড়িয়ে বিমানটি শ্রীনগর বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। এই ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠছে, আন্তর্জাতিক মানবিকতার ন্যূনতম মানদণ্ডও কি মেনে চলছে না পাকিস্তান?

ঘটনা ঘটে বুধবার। দিল্লি থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ইন্ডিগো ফ্লাইট ৬ই–২১৪২ মাঝ আকাশে প্রবল টার্বুলেন্স ও আবহাওয়ার চরম অবনতির সম্মুখীন হয়। শিলাবৃষ্টি ও প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে পড়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বিমানে। সেই মুহূর্তে নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তানের লাহোর ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের কাছে অল্প সময়ের জন্য এয়ারস্পেস ব্যবহারের অনুমতি চান বিমানের পাইলট। কিন্তু অভিযোগ, প্রাণহানির আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান সেই অনুরোধ নাকচ করে দেয়। বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই পূর্ব নির্ধারিত পথ ধরে বিমানটি শ্রীনগরের দিকে এগোয়। শেষ পর্যন্ত কোনওরকমে দুর্ঘটনা এড়িয়ে বিমানটি শ্রীনগর বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

এই বিমানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের চার সাংসদ, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ, সাংসদ নাদিমুল হক, মমতাবালা ঠাকুর—এবং রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাগরিকা ঘোষ জানান, “প্রায় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম এটাই আমার শেষ মুহূর্ত। সবাই চিৎকার করছিলেন, প্রার্থনা করছিলেন। পুরো বিমানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।” তবে যাত্রীদের অভিযোগ ও অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)।

আরও পড়ুন – বাংলার কনিষ্ঠ অঙ্গদাতা হয়ে ইতিহাস গড়ল ১২ বছরের উমাঙ্গ!

_

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
