এখনও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারাধীন ওবিসি মামলা। ফলে বাংলার কলেজগুলিতে ভর্তির বিষয়টিও ঝুলে রয়েছে। এরমধ্যে এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) রায়ে আশার আলো দেখছেন পড়ুয়ারা। বুধবার হাই কোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চ রাজ্য স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ভর্তি নিয়ে জটিলতার নিরসনে ২০০৯–এর ওবিসি তালিকা মানার রায় দিয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের পরে OBC শ্রেণিবদ্ধকরণের প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ফলে, ২০১০ সালের পর জারি করা সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জারি করা প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক ওবিসি সার্টিফিকেট চাকরি বা শিক্ষায় সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। তবে, ২০১০ সালের আগে যারা ওবিসি তালিকায় ছিলেন, তাঁদের সার্টিফিকেট বৈধ থাকবে। এর আগে যাঁরা ওবিসি সংরক্ষণের মাধ্যমে চাকরি বা শিক্ষায় সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের স্থান অপরিবর্তিত থাকবে। ১৯৯৭ ও ২০১১–এর সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই সংরক্ষণের হার ৭ শতাংশ। ২০০৯–এর তালিকায় অবশ্য ওবিসি (এ) ও ওবিসি (বি) বিভাজন ছিল না। সে ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, ২০০৯–এর তালিকায় ‘এ’, ‘বি’ ভাগ না–থাকলেও কাস্টের উল্লেখ ছিল। সেই মতোই ২০১০–এর পরে ইস্যু করা ওবিসি সার্টিফিকেটে কাস্টের উল্লেখ দেখে অনুমোদিত ও অ–অনুমোদিত পৃথক করা সম্ভব। ‘এ’, ‘বি’ ক্যাটিগরিতে যথাক্রমে ১০ ও ৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল রাজ্য। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বুধবারের রায়ে মোট সংরক্ষণ দাঁড়াবে ৭ শতাংশ।
আরও খবর: পুরনো নিয়মেই SSC ! শিক্ষকদের চাকরির পরীক্ষায় বড় বদলের পথে রাজ্য
একইসঙ্গে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে বিচারপতি চন্দের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ২০০৯–এর তালিকা ও সংরক্ষণ বিধি মেনে ৪০ দিনের মধ্যে নতুন তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–