বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন পুঞ্চের হামলার শিকার এলাকাগুলিতে। আর শুক্রবার রাজৌরির (Rajouri) জেলা হাসপাতাল এবং সরকারি মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে তৃণমূল প্রতিনিধিরা কথা বলেন আহতদের সঙ্গে। তাঁদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। সেখানেই একদিকে আহতদের পাশে থাকা ও অন্যদিকে লড়াকু চিকিৎসকদের কুর্নিশ জানান পাঁচ সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

রাজৌরির হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় কার্যত চোখে জল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose) জানান, ইমতিয়াজ আহমেদ হারিয়েছেন হাত। আর তিনি কাজ করতে পারবেন না। তিনি আর সংসারের জন্য রোজগার করতে পারবেন না। তাঁর তিনটি ছোট শিশু রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বর্ণনা করেন, দেখলাম ১২ বছরের রাফিয়াকে। তার একটি পা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। সে আর দৌড়াতে পারবে না। আর কোনওদিনও স্কুলেও যেতে পারবে না। তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি সাগরিকা জানান, যে কোনও ধরনের সাহায্য প্রয়োজন, রাজ্য সরকারকে সেভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত আমরা।

এদিন রাজৌরির মৃত আধিকারিক রাজ কুমার থাপার বাড়িতে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien) জানালেন, থাপার বাড়িতে তখন ছিলেন না কেউই। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি এবং এলাকার অবস্থা ২০ মিনিট ধরে ঘুরে দেখেন তাঁরা। তারপরে প্রয়াত থাপার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের ৫ সদস্য। স্লোগান তোলেন ‘ড. থাপা অমর রহে’। নিহত থাপার ক্ষতবিক্ষত বাড়ি এবং এলাকার অন্য বাড়িগুলোর বিধ্বস্ত ছাদের অবস্থা দেখে ডেরেকের মন্তব্য, লক্ষ্যহীনভাবে এলোপাথাড়ি হামলা চালায়নি পাকিস্তান। পরিকল্পনামাফিক সুনির্দিষ্ট আক্রমণ এটি। পুঞ্চে গিয়েও একথাই মনে হয়েছে।

তবে এই বিধ্বস্ত পরিস্থিতিতেও মানুষের জন্য যে লড়াই করেছেন রাজৌরির (Rajouri) চিকিৎসকরা, তাঁদের কুর্নিশ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের। সাংসদ সাগরিকা বলেন, ডাক্তার ইরফান, ডাক্তার জাভেদ, ডাক্তার জুবের, ডাক্তার ভাট্টি – এঁরাই দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রথম সারিতে। এনাদের প্রত্যেককে আমাদের স্যালুট। এনাদের অসংখ্যা ধন্যবাদ জানাই।

সাগরিকার কথার রেশ ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া (Manas Bhuniya) বলেন, আমি নিজে চিকিৎসক। আমি বুঝতে পেরেছি এখানকার হাসপাতালে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা করেছেন, প্রাণ বাঁচিয়েছেন। হামলায় আহত ২৬ জনকে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে ৩ জন মৃত।

–
–

–
–

–

–

–

–

–
