বর্ষা এখনও না এলেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাতে মাঝেমধ্যেই হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। দিনের প্রখর গরমের থেকে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, এই খামখেয়ালি আবহাওয়া উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। জমা জল ও মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গির সংক্রমণ আগেভাগেই বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্যভবনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত রাজ্যে ১,০২০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সাধারণত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গির মৌসুম হলেও, এবছর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সতর্ক করে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি এলাকায় ‘মাইক্রো প্ল্যান’ তৈরি করে জমা জলের উৎস চিহ্নিত করতে হবে। প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে, বিশেষত ফাঁকা জমি ও বন্ধ বাড়ির উপর। হাসপাতালগুলিকে ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ তাপমাত্রা ও বেশি আর্দ্রতা— এই দুইয়ের মিশ্রণ মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। রাজ্যবাসীকেও সতর্ক করা হয়েছে, বাড়ির আশেপাশে কোথাও যেন জল জমে না থাকে। প্রশাসন সক্রিয় হলেও, জনসচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গি রোখা কঠিন বলেই মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন – বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের চক্রান্ত! সর্বস্তরে সতর্কতা বার্তা তৃণমূলের

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_
_


