কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে শনিবারই বিকাশ ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন চাকরিহারারা। কিন্তু একগুচ্ছ দাবি তুলেছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি এদিন আইনজীবী তথা CPIM নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikash Ranjan Bhattacharya) বাড়িতেও যান বিক্ষোভকারীদের একাংশ। আর তাঁদের আরও হতাশ করেন বিকাশ। এই বিষয় নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, যাঁরা চাকরি খাওয়ার রাজনীতি করেন, তাঁদের কাছেই যদি কেউ পরামর্শ চাইতে যান, তাহলে কিছু বলার নেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকার চাইছে, কীভাবে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া যায়, আর সিপিএম-সহ বিরোধীদের আইনজীবীরা চাইছেন কীভাবে চাকরি খাওয়া যায়- এটাই তফাৎ।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের এসএসসি গোটা প্যানেল। তার মধ্যে যাঁদের পরীক্ষায় কোনও সমস্যা নেই তাঁদের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুল যেতে বলেছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ফের পরীক্ষায় বসতে বলা হয়েছে। কিন্তু আর পরীক্ষায় বসতে চান না বলে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। কিন্তু শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মানুষের অসুবিধা করে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলন চলবে না। উল্টোদিকে সেন্ট্রাল পার্কে বিক্ষোভকারীদের চলে যেতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই মতো এদিন চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও একটা লম্বা দাবির তালিকা পেশ করেছেন তাঁরা। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে সেই দাবি রয়েছে তাঁদের।

এই পরিস্থিতিতে এদিন বিকাশ ভট্টাচার্যের (Bikash Ranjan Bhattacharya) দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান বিক্ষোভকারীদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, আরও হতাশ করেছেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ। তিনি তাঁদের জানান, “আপনারা কেউ চাকরি ফিরে পাবেন না। আপনাদের নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে, তার জন্য তৈরি হন।” এই কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই আশাহত হয়েছেন চাকরিহারাদের একাংশ।
আরও খবর: কীভাবে পুলিশ কনস্টেবলের পোশাক চুরি? জেরা ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে

এই প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ জানান, মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার তার চাকরি বাতিলের বিরোধিতা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন, কীভাবে আইনি পদে এগিয়ে চাকরি ফেরানো যায়। রিভিউ পিটিশন দাখিল করছে রাজ্য সরকার। আইনের মধ্যে থেকে মধ্যবর্তী সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বিরোধী রাজনৈতিক দলের আইনজীবীরা চাকরি খাওয়ার কথা বলেছেন। কুণালের কথায়, যাঁরা আদালতে গিয়ে চাকরি খাওয়ার কথা বলছেন, তাঁরাই আবার আন্দোলনের প্ররোচনা দিচ্ছেন! বিকাশের কাছে যআওয়ার প্রসঙ্গে কুণাল কটাক্ষ করে বলেন, ভক্ষকের কাছে কেউ যদি পরামর্শ নিতে যান, সেটা তাঁদের বিষয়। উদাহরণ দিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, এসএলএসটি-র ধর্নামঞ্চে বসার পরে, তাঁদেরই চাকরি খাওয়ার জন্য আদালতে বলেছেন সিপিএমের নেতা তথা আইনজীবীরা। সিপিএমের আইনজীবীরা চাকরি খাওয়ার রাজনীতি করছে, আর রাজ্য সরকার চাকরি বাঁচানোর চেষ্টা করছে-এটাই তফাৎ।

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–