টাকার বিনিময়েই মেলে ছাড়পত্র। কেন্দ্রে মেডিক্য়াল কাউন্সিলের (National Medical Commission) ছাড়পত্র এভাবেই টাকার বিনিময়ে দেওয়ার তদন্তে এবার কেন্দ্রেরই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। সেই সূত্রে শনিবার ও রবিবার পূর্ব বর্ধমানে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় সিবিআই-এর একটি দল। পরে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্য়াপক চিকিৎসক তপন কুমার জানাকে। এই ঘটনায় স্পষ্ট স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণের জেরে কীভাবে বিপন্ন জনস্বাস্থ্য।

জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের নিয়ামক পদে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা চিকিৎসক তপন জানা। সম্প্রতি কর্ণাটকের বেলাগাভিতে (Belagavi) একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্ট পেশ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। টাকার বিনিময়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পছন্দসই রিপোর্ট তৈরি করায় অভিযুক্ত হন জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের আধিকারিক চিকিৎসক তপন জানা। টাকা দেওয়ায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দুই কর্মীও অভিযুক্ত হন।

সেই তদন্তে শনিবার রাতে বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুরের হাতিশাল এলাকায় চিকিৎসক তপন কুমার জানার বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই-এর আট সদস্যের একটি দল, খবর সূত্রের। ফের রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ আসে সিবিআই আধিকারিকরা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তপন জানা বাড়িতে ছিলেন না। তবে তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা জানা আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের রেডিওলজি বিভাগে কর্মরত। তিনি সিবিআই তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

এরপরই কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় চিকিৎসক তপন জানাকে। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ (bribe) নিয়ে রিপোর্ট বদলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা তাঁর বর্ধমানের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নগদ ও সোনা ও হীরের গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে বলে সূত্রের খবর।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–