মিঠি নদীর কেলেঙ্কারিতে এবার নাম জড়ালো বলিউড অভিনেতা-মডেল ডিনো মরিয়ার। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (Economic Offenses Wing)। শুধু অভিনেতাই নন, পাশাপাশি তাঁর ভাই সান্টিনো মরিয়াকেও জেরা করছে EOW।

সোমবার সকালে মুম্বই পুলিশের EOW-এর দফতরে হাজির হন ডিনো মরিয়া। সকাল ১১টা নাগাদ তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করেন। তদন্তের এক পর্যায়ে কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত কেতন কদম এবং জয় যোশীর সঙ্গে ডিনো মরিয়া ও তাঁর ভাইয়ের একাধিক কথোপকথনের তথ্য সামনে এসেছে। সেই ফোনালাপের রেকর্ড এবং ডেটা এখন তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। সূত্রের দাবি, এই কলগুলিতে কেবল ব্যক্তিগত যোগাযোগ নয়, কেলেঙ্কারির পরিমাণ, মেশিন ভাড়া, অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত আলোচনার ইঙ্গিত মিলেছে। ফলে, অভিনেতা তাঁর ভাইয়ের ভূমিকা বন্ধুত্বের গণ্ডি ছাড়িয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা।

মিঠি নদীর পলি অপসারণ এবং সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ১১০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই কেলেঙ্কারির ফলে সরকারি তহবিলে বিশাল ক্ষতি হয়েছে যেমন, তেমনই মুম্বইয়ের মতো শহরে আসন্ন বর্ষার প্রস্তুতিও বিশ বাঁও জলে। মিঠি নদীর নিচু এলাকায় বৃষ্টির জল নিষ্কাশন অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যয়সাপেক্ষ কাজ। ফলে নড়েচড়ে বসেছে তদন্তকারী সংস্থা। এই কেলেঙ্কারির মূল অভিযোগ, মিঠি নদী পরিষ্কারের জন্য BMC (বৃহন্মুম্বই পুর কর্পোরেশন)-র স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন বিভাগ দ্বারা স্লাজ পুশার এবং ড্রেজিং মেশিন কেনা ও ভাড়ার দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, কোচি-ভিত্তিক সংস্থা ম্যাটপ্রপ টেকনিক্যাল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এই যন্ত্রপাতিগুলি উচ্চমূল্যে ভাড়া নেওয়া হয়, যাতে কোটি কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। এই চক্রে ম্যাটপ্রপ সংস্থার কর্তাদের পাশাপাশি BMC-র কিছু কর্মকর্তাও যুক্ত। কেতন কদম এবং জয় যোশীকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

যদিও এখনও পর্যন্ত ডিনো মরিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি জড়িত থাকার মতো কোনও প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে আসেনি, তবুও তার ফোনালাপ এবং উপস্থিতি থেকে স্পষ্ট— এই মামলাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে EOW।

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–
